পরিবার ও বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে লাখো মানুষ। ট্রেন, বাস ও লঞ্চে করে ছুটছেন নানা বয়সী মানুষজন। ফলে সকাল থেকেই ট্রেনে করে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে কমলাপুর স্টেশনে।
টিকিটপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। তবুও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে গ্রাম ছুটছেন ঢাকার কর্মব্যস্ত মানুষ।
ঈদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনুযায়ী আজ দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন মানুষ। গত ১৯ আগস্ট দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যারা টিকিট নিতে পেরেছেন, আজ তারাই কমলারপুর থেকে কাঙ্খিত ট্রেনে চেপে বাড়ির পথ ধরছেন।
সোমবার সকাল থেকে কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড় থাকলে আগামী কয়েকদিনে তা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর ছেড়ে গেছে একতা, নীলসাগর, সুন্দরবন, লালমনি এক্সপ্রেস। সবগুলো ট্রেনেই ছিল মানুষের ভিড়।
দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে বাড়ি ফিরতে ট্রেনে উঠেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল মালেক। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দুরপাল্লার যাত্রায় সীমাহীন ভোগান্তি আর যানজটের বিড়ম্বনার কথা চিন্তা করে ঈদের একটু আগে আগেই বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হচ্ছি। ঈদের কয়েকদিন আগে বাড়ি ফিরলেও তখন থেকে ঈদের আনন্দ শুরু হয়ে যায়।
তৌহিদুর রহমান নামে আরেক যাত্রী বলেন, জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে থাকলেও মন পড়ে থাকে নিজ গ্রামে। ঈদের সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ায় মনে আলাদা প্রশান্তি কাজ করে। যে কারণে শত ভোগান্তির মাঝেও বাড়ি ফেরার আলাদা ভালো লাগা থাকে।
এদিকে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীরা যেমন সুন্দর এবং সুশৃঙ্খলভাবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন; তেমনি আশা করা যায় সবার ঈদযাত্রাও সুন্দর হবে। ট্রেন যাত্রায় যাত্রীদের যেন সমস্যা না হয়, পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
জানা গেছে, এবার ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন সারাদেশে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে রেলওয়ে। এছাড়া ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর এবং ঈদের পরে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ৭ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply