প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও তামিম ইকবাল পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। এ যাত্রায় খেলেছেন ৭৮ রানের ইনিংস। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিকুর রহীম। দ্বিতীয় ইনিংসে হাসছে সাব্বির রহমানের ব্যাটও।
সব মিলে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের লিড দুইশ ছাড়িয়ে গেছে। ৪৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৩ রান। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৬ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৬০ রান। জবাবে সবকটি উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া করতে সক্ষম হয় ২১৭ রান।
এদিকে বড় লিডের স্বপ্ন নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই ধাক্কা খায়। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার কিছু আগে সৌম্যর বিদায়ের পর নৈশপ্রহরী হিসেবে মাঠে নামা তাইজুল দিনের শুরুতেই বিদায় নেন। লিওনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাইজুল।
তাইজুলের বিদায়ের পর প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার পর ইমরুলের সামনে সুযোগ ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করার। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যর্থ ইমরুল কায়েস। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে লিওনের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ২ রান।
এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তামিম। তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফ সেঞ্চুরি। তবে লাঞ্চের পর শুরুতেই বিদায় নেন তামিম। পেসার প্যাট কামিন্সের লাফিয়ে উঠা বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দি হন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার আলিম দার কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন স্টিভেন স্মিথ। তাতে পাল্টায় সিদ্ধান্ত আর ভাঙে ৬৮ রানের জুটি।
তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দেখে-শুনে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মুশফিককে। লিয়নের তৃতীয় বলটিকে চারে পরিণত করেন সাকিব। পরের বলটি ওফে ঠেলে দিলেও কোন রান পাননি। ওভারের পঞ্চম বলটি কোন কারণ ছাড়াই উঠিয়ে খেলতে গেলেন সাকিব। বলটি সোজা উপরে উঠে যায় আর মিড অফে কামিন্সের হাতে ধরা পরেন সাকিব। যেন ইচ্ছা করেই নিজের উইকেটটি লিওনকে উপহার দিলেন সাকিব!