আগামীকাল বুধবার ৩০ আগস্ট ২০১৭ ৮ জিলহজ হজের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। আগামীকাল বুধবার জোহরের আগেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সব হজযাত্রী তাবুর শহর খ্যাত মিনায় জোহরের নামাজ আদায় করবে।
হজের মূল কাজ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকবে সেখানে। ৯ জিলহজ ফজর নামাজ পড়ে হজের জন্য (সম্ভব হলে) গোসল করে মিনা থেকেই রওয়ানা হবে আরাফার উদ্দেশ্যে।
সঠিকভাবে হজ সম্পাদনে হজের প্রস্তুতি গ্রহণের শুরুতেই হজ পালনেচ্ছুদের জন্য হজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে নেয়া জরুরি। যে কাজগুলো যথাযথ আদায় না করলে হজ হবে না।
আবার কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো যথাযথ আদায় না করলে কুরবানি দেয়া আবশ্যক হয়ে যাবে। হজের গুরুত্বপূর্ণ আবশ্যক কাজগুলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো-
>> হজের ফরজ
– হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে সেলাইবিহীন দুই কাপড় পরিধান করে তালবিয়া পড়া। আর মহিলাদের জন্য শালীন যে কোনো পোশাক পরিধান করা।
– ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে (কিছু সময়ের জন্য হলেও) অবস্থান করা। মনে রাখতে হবে, কোনো হজ পালনকারী যদি ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে না পারে তার হজ হবে না।
– তাওয়াফে জিয়ারত সম্পন্ন করা। এ তাওয়াফ ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সুর্যাস্তের আগে করতে হবে।
সতর্কতা
হজের কার্যক্রমগুলো নির্ধারিত সময়ে যথাস্থানে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আদায় করা ফরজের শামিল।
হজের ওয়াজিব
– সাফা ও মরাওয়া পাহাড়দ্বয়ে সাঈ করা।
– মুজদালিফায় অবস্থান করা।
– মিনায় ছোট, মধ্যম ও বড় জামারাতে ‘রমি’ বা কংকর নিক্ষেপ করা।
– কুরবানি করা। যারা বহিরাগত এবং যারা হজে কিরান ও তামাত্তু আদায় করেন।
– মাথা মুণ্ডন করা।
– মিকাতের বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের পর তাওয়াফে কুদুম আদায় করা।
– বিদায়ী তাওয়াফ করা।
– আরাফাতের ময়দানে জোহর-আসর এবং মুজদালিফায় ইশার সময় মাগরিব ও ইশা আদায় করা।
– ১০ জিলহজ রমি করা, কুরবানি এবং মাথা মুণ্ডনে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
সতর্কতা
– কোনো কারণে হজের কোনো ফরজ যদি তরক হয় বা ছুটে যায় তবে, পরে আবার হজ আদায় করতে হবে।
– আর যদি কোনো ওয়াজিব ছুটে যায় তবে ওয়াজিব তরক বা ছুটে যাওয়ার জন্য কুরবানি করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আল্লাহ মেহমান হজ পালনেচ্ছুদেরকে যথাযথ ভাবে হজ সম্পাদনের তাওফিক দান করুন। সবাইকে হজে মাবরুর নসিব করুন। আমিন।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply