প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৭:৫৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৬, ২০২৩, ৪:৫৬ পি.এম
সীতাকুণ্ড ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে বিরামহীন ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়গুলো নরম হয়ে গাছপালা উপড়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে,যেকোন সময় পাহাড় ধসে জান মালের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, মাইকিং করেও তাদের কে সরানো যাচ্ছেনা।
পাহাড় ধসের আশংকার কারনে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে মাইকিং করছে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। এবং এই দূর্যোগ মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
পাহাড়ি এলাকায় বসবাস ও চলাচলকারীদের সতর্কতামূলক পরামর্শ দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সদস্যরা।
গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রাম জেলায় এক নাগারে মাঝারি ও ভারী মাত্রার বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারনে পাহাড় ধসের আশঙ্কা বেড়েছে, এমনটাই বলা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সচেতন ও সতর্ক থাকতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ।
শনিবার সীতাকুণ্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড় ধস ও পাহাড়ি ঢলে নিন্মা এলাকা বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সলিমপুর,ভাটিযারী,সোনাইছড়ি,কুমিরা জোড়ামতল, বাঁশবাড়ীয়া,বাড়বকুন্ড,মুরাদপুর,সৈয়দপুর,বারিয়ারঢালা,সীতাকুণ্ড সদর এর বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। একদিকে সাগরের জোয়ারের পানি অপর দিকে পাহাড়ী ঢলের পানি সীতাকুন্ড নিম্মাচ্ঞল প্লাবিত হয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্হানীয় প্রশাসন ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদের কে নিরাপদে যাওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন।
পাহাড় ধসের শঙ্কা ছাড়াও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢলের পামাপামি সন্ধীপ চ্যানেলে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হওয়ায় পানিগুলো দ্রুত সরতে না পেরে জলাবদ্ধতা স্থায়িত্ব বেড়েছে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপ- পরিচালক মোঃ ফিরোজ আলম জানায়, স্থানীয় জনগণের ক্ষয়ক্ষতি ও জানমাল রক্ষায় সচেতন করতে জঙ্গল লতিপপুর,জঙ্গল সলিমপুর,আরিফ নগর,জঙ্গল ভাটিয়ারী,বারআউরিয়া সহ বিভিন্নস্থানে মাইকিং করা হয়েছে। প্রতিবছরই বর্ষার মৌসুমে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে। সেসময়টায় মানুষজন যাতে ঝুঁকি এড়িয়ে চলে সেই বিষয়ে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারনে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ে গাছ উপড়ে পড়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহদাৎ হোসেন জানান অনেকদিন প্রচন্ড খরার পর
বৃষ্টি হওয়াতে কৃষকরা কুব খুশি হলেও টানা ভারী বৃষ্টি হওয়াতে লোকজন কাজকর্ম করতে পারছেনা,দিন মজুররা অলস সময় কাটাচ্ছে,উপজেলার উত্তর দক্ষিন সীমানার পূর্বপাশ পুরোটাই পাহাড়,এখানে অনেক উপজাতীয় সহ বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন বসবাস করছে।তাদেরকে সরে নিরাপদে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে,সরাসরি বলা হচ্ছে,থাকার জন্য জায়গা করে দেয়া হয়েছে,।প্রয়োজনে খাদ্যের ব্যবস্হাও করা হয়েছে।কিন্তু তারা আসতে চাচ্ছেনা,পুলিশ দিয়ে ভয় লাগিয়ে ও সরানো যাচ্ছেনা।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইন্চার্জ মোঃ দুলাল জানায়,পাহাড় ধসের আশংকায় আমরা মাইকিং করেছি প্রতিটি পাহাড়ী বসবাসকারীদের পাড়ায় গিয়ে।আমরা প্রস্তুত রয়েছি যেকোন দূর্ঘটনায় মোকাবেলায়।বৃষ্টিতে মহাসড়কে ও দূর্ঘটনা বেড়ে গেছে,আমাদের উদ্ধারকারী দল যেখানে দূর্ঘটনা সেখানেই উপস্হিত হচ্ছে।