নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা গুলশান (১৭) আসনের উপনির্বাচনের কারচুপি নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক পদযাত্রা সভায় বলেছিলেন, আওয়ামিলীগ এখন এমন একটি দলে পরিনত হয়েছে, যে তারা এখন তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কোন ভাল মানুষকে পাইনা, কারণ তাদের মতো ভোটচুরদের মানুষ বিশ্বাস করেনা। কিন্ত তাই বলে হিরো আলমের মতো অর্ধ পাগল ও অর্ধ শিক্ষিত একজন মানুষকে মোকাবেলায় ঢাকা গুলশান (১৭) আসনে তাদের শিক্ষিত একজন প্রার্থী প্রফেসর এম এ আরাফাতকেও ভোটচুরি এবং হিরো আলমকে পিটাইয়া খেদাইয়া একতরফা ভাবে জিততে হলো। দুঃখের বিষয় হিরো আলমকে মোকাবেলা করার শক্তিও আজ আওয়ামিলীগের নেই! তাদের জনপ্রিয়তা এমন অবস্থায় যে এত হাঁকডাক করেও জনগনকে ভোটের মাঠে আনতে পারে নাই। এত জাল ভোট দিয়েও মাত্র ৮% ভোট নাকি পড়েছে, সাড়ে ৩ লাখ ভোটের মধ্যে, সেখানে আরাফাত ভোট পেয়েছে মাত্র ২৮ হাজারের মতো, তাহলে বাকি ভোটার গেলো কই! আসলে আওয়ামিলীগ একটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিনত হয়েছে মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, মানুষ এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে, তখনই মানুষ এই অবৈধ সরকারকে বুঝিয়ে দেবে তারা কত গণবিচ্ছিন্ন। এই বক্তব্যের মধ্যে হিরো আলম কে অর্ধ পাগল এবং অর্ধশিক্ষিত বলাই হিরো আলম বেজায় চটেছে বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে, তাই তিনি হিরো আলম গতকাল ৬ আগস্ট ২০২৩ ইং ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছেন, সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন আমি বিএনপি ও আওয়ামিলীগকে ভালবাসি। কিন্ত একজন নেতা রুহুল কবির রিজভী কিভাবে আমাকে অপমান করে অর্ধ পাগল ও অর্ধ শিক্ষিত বলে! তাই আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ওনার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবো। অবশেষে তিনি হিরো আলম আজ ৬ আগস্ট ২০২৩ ইং ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করলো! এই মামলার ফলে জনমনে হিরো আলমের ওপর মানুষের সিমপেতির ভাটা পড়বে বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন। এবং হিরো এই মামলা করে সস্তা জনপ্রিয়তা খুঁজছেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন কারণ এটি একটি সাজানো নাটকের মাধ্যমে হচ্ছে বলে বিএনপি মনে করেন।