মোঃ শোয়াইব (হাটহাজারী) প্রতিনিধিঃ
হাটহাজারী উপজেলার ৯ নং গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৬ নং এর ফজলুল হক সড়কের কিছু অংশ তুলাতুল হতে সুইস গেট পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার মিটার রাস্তা দীর্ঘদিনও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।বিশেষ করে বর্ষাকালে তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন বারবার সংস্কারের দাবি তোলা হলেও এ পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি কেউ।যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশের অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে যাওয়ার অন্যতম একটি সড়ক এইটি।বছরে প্রায় সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় প্রশাসনের সবাই এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে।কিন্তু পাঁচটি বছর পার হলেও কারো চোখে পড়েনি এই সড়কটি।
রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী জিয়াউর রহমান,মোঃ ইসমাইল,বখতিয়ার,শোয়াইব জানান রাস্তাটি প্রায় দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে আমরা এলাকাবাসীরা অনেক দুর্ভোগে পড়েছি বিশেষ করে বর্ষাকাল আসলেই দুর্ভোগ যেন আরো চরমে পৌঁছাই।বর্ষাকাল আসলেই এখানে কাদায় পরিণত হয়।এই সময় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।এ সময় এলাকার গর্ভবতী কোন মহিলা কিংবা কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক কষ্টে পড়তে হয়।
স্থানীয় অটো রিক্সা চালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ,মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন,মোঃ পারভেজ,মোঃ মুন্না,মোঃ সাদ্দাম জানান বর্ষাকাল আসলেই এ'রাস্তাতে দিয়ে আর গাড়ি নিয়ে যেতে পারি না।কিন্তু মাঝেমধ্যে অনেক অসুস্থ ব্যক্তি বা বৃদ্ধ মানুষরা হেঁটে যেতে না পারলে কষ্ট করে গাড়ি নিয়ে এই কাঁদা দিয়ে গেলে গাড়ি আটকে যায়, তখন চার পাঁচ জন মিলে ধাক্কা দিয়ে তোলা লাগে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আশা করছি দ্রুত যদি এই সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয় আমাদের যেমন সুবিধা হবে তেমনি স্থানীয় ভোগান্তিতে পড়া এলাকাবাসী শান্তিতে চলাফেরা করতে পারবে।
এ'বিষয়ে গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার বলেন আমি রাস্তাটি ইস্টিমিট করে পাঠিয়েছি।আপনার প্রয়োজন হলে ফরওয়ার্ডিং টা নিতে পারেন।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে বেরিবাধের কাজ শুরু হলে এ রাস্তাটির উপর দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সে কারণে আগে থেকে এ রাস্তাটির ইট তুলে ফেলা হয়েছে।পরে রাস্তাটির উপর দিয়ে বেরিবাধ গেলে অনেক মানুষের ঘরবাড়ির ক্ষতি হবে এরকম প্রতিবাদ করলে পরে বেরিবাধের ম্যাপ নদীর পাড়ে পাড়ে করে নিয়ে যায়।পরে বেরিবাধের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত এ রাস্তাটিতে একটি ইট ও বসে নাই।