আমরা কেন এসেছি এই পৃথিবীতে! কি জন্য এসেছি! কার জন্য এসেছি! নিজের জন্য! নাকি অন্যকারো জন্য! আসলে আমাদের কি করা উচিৎ! আমরা কি করছি! আমাদের কি বলা উচিৎ! আমরা কি বলছি! কাকে বলা উচিৎ! আর কাকে বলছি! আমরা কি দিন শেষে রাতে ঘুমাতে গিয়ে একটু কি ভেবে দেখছি! সারাদিন কি বলেছি, কি করেছি, কার জন্য বলেছি! কার জন্য করেছি! আচ্ছা! আমরাতো সবাই নিজেদের বিবেকবান মনে করি, বলি ও করি আসলে আমরা একটু নিজের বিবেককে কখনো জিজ্ঞেস করি! হে আমার বিবেক আমি আজ যা করেছি যা বলেছি তাহা কি তোমার আমার সৃস্টি কর্তা পছন্দ করে নাকি করেনা! সত্যি বলতে আসলে আমরা আমাদের বিবেকের কাছে এইটুকু জিগ্যেস করার সময়ও পায়না! কারণ আমরা প্রতি মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্তে নিমজ্জিত! তা নাহলে কিভাবে আমরা এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে অন্যায় আর মিথ্যার সাথে নিজেদের একাকার করে ফেলেছি! আমরা সামান্য হাসার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত নিমজ্জিত হচ্ছি! অনিচ্ছাকৃত নয়! মনে হচ্ছে ইচ্ছার চেয়ে আরো একটু বেশি আগবাড়িয়ে বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছি! ইচ্ছার চেয়েও একটু আগবাড়িয়ে নিজের খুশির চেয়েও অনেক বেশি খুশি অন্যকে করে চলেছি! কি লাব! নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে গিয়ে পাপিষ্ঠের পাতায় নাম লিখিয়ে! ছোটবেলায় স্কুলে বাড়ীর কাজ দিতো পাতা ভরা সদা সত্য কথা বলিব একথা লিখে আনতে! হাইরে সে বাড়ীর কাজ লিখতে লিখতে কতো পাতা কতো খাতা শেষ করেছি মা বাবার টাকা লস করেছি! অথচ আজ আমরা যখন পরিনত তখন জেনে শুনে প্রতিমুহূর্তে সেই শিক্ষার বিপরীতে মিথ্যার সাথেই পথ চলেছি! আমরা কি এজন্যই এসেছি! এ'ধরণীর ধরাতলে! পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে সূরাহ মূলকের দ্বিতীয় নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেছেন, "আমি মরণ এবং জীবন দান করেছি শুধুমাত্র কারা কর্মে সৃষ্ট তাহা দেখার জন্য", আসলে আমরা যারা পবিত্র কোরআান এর এই আয়াত জানি মানি সেই তারাও আল্লাহর এই পরীক্ষা পাশ করার জন্য বিন্দুমাত্র চেস্টা করছি বলে মনে হচ্ছেনা! কবে আমাদের জ্ঞান ফিরবে? কবে আমরা মানুষ হবো? কবে আমরা অন্যের দুঃখে দুঃখী হব? কবে আমরা অন্যের সুখে সুখী হব? কবে আমরা আল্লাহর সে পরীক্ষা পাস করার জন্য হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবো? কবে আমরা আল্লাহর বাণীর সামনে তাবত দুনিয়ার সকল মানুষের বাণী ছুড়ে ফেলবো? আমরা কি পারিনা মিথ্যার বাণী সব ছুড়ে ফেলে সত্যের বাণীকেই বুকে নিতে! তবেইতো আমরা সকলে মিলে সুখে থাকতে পারবো। এটুকু বুঝতে আমাদের যত দেরি হবে ঠিক আমাদের সুখী হতে ততই দেরি হবে।
#মোঃ দিদারুল আলম (দিদার)
সাংবাদিক ও হিউম্যান রাইটস একটিভিস্ট।