২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপির নেতা কর্মিরা বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে পালিয়ে ছিলো, আগামিতে এমন নির্বাচন বাংলার মাটিতে আর হবেনা। গুন্ডা বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতা কর্মিদের তাড়াবেন ঐ ভোট আর হবেনা। আগামী দিনে তত্বাবধায়ক অথবা নিরপেক্ষ অথবা অন্তর্বর্তি কালিন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। নাটোরে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
শুক্রবার সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলন শেষে জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন দোয়া ও আলোচনা সভা করা হয়।
আলোচনা সভায় দুলু আরো বলেন, যে নির্বাচনে বাংলার মানুষ অংশ গ্রহন করতে পারবে যে নির্বাচনে এদেশের মানুষ নির্ভয়ে তার পছন্দেও প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, যে নির্বাচনে বাংলার মানুষ ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে সেই ভোট হবে। আগামি দিনে শেখ হাসিনার অধিনে, এসরকারের অধিনে কোন নির্বাচন হবেনা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু। জেলা বিএনপির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ,জেলা মহিলা দলের সভাপতি বেগম সুফিয়া হক, ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় দুলু বলেন, আজ থেকে ৪৫ বছর আগে জিয়াউর রহমান বিএনপি দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার সাড়ে ৩/৪ বছর পরেই ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করে দলটিকে ধ্বংশ করতে চেয়ে ছিলো। কিন্তু দেশের জনগণ বারবার ধানের শীষে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনে ছিলো। দূভাগ্য আজ ১৫ বছর এদেশে কোন ভোট নেই। যদি ভোটের অধিকার থাকতো তাহলে দেশের মানুষ জিয়াউর রহমানের দল বিএনপিকে দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব দিতো। আওয়ামী লীগের সময় শেষ বলে আর কয়েকটা দিন ধর্য্য ধরতে নেতা কর্মিদের আহবান জানান তিনি।