অপহৃত পাহারাদল (সিপিজি'র) তিন সদস্যকে ফেরত দিতে অপহরণকারীরা ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের একদিন পার হলেও তাদের উদ্ধার সম্ভব না হওয়ায় পরিবারে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। গহীন বনে অবস্থান গড়ে বন পাহারাদলের সদস্যদের অপহরণকে 'জলে বাস করে কুমিরের সাথে লড়াই'র সাথে তুলনা করেছেন বোদ্ধামহল।
টেকনাফ রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বন পাহারাদলের (সিপিজির) তিন সদস্যরা দমদমিয়া নেচার্র পার্ক সংলগ্ন পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সন্ধ্যায় তারা বাড়িতে ফেরত না আসলে আমরা তাদের খোঁজতে শতাধিক লোকজন নিয়ে পাহাড়ে ভেতর গিয়েও পায়নি। শনিবার সকাল হতে সন্ধ্যায় পর্যন্তও পাহাড়ের বিভিন্ন লোকেশনে ঢুঁমেরেও তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত ভিকটিমদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ফেরত পেতে হলে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারিরা। টাকা না দিলে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হচ্চে বলে জানা গেছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী মেম্বার জানান, সিপিজির তিন সদস্য অপহরণের ঘটনায় আমরা লোকজন নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা হতেই পাহাড়ে তাদের খোঁজ বেড়াচ্ছি। একদিন ৩৬ ঘন্টা অতিক্রম হলেও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এতদিন রাখাল, কৃষক অপহরণ হলেও বনকর্মী অপহৃত হয়নি। এখন বন পাহারাদার অপহরণের শিকার হবার পর সাধারণ মানুষ অপহরণ আতংকের রয়েছি। টেকনাফের এ অংশে দিনের পর দিন অপহরণের ঘটনা বাড়ছে।
উল্লেখ্য,টেকনাফে এ পর্যন্ত শতাধিক অপহরণের ঘটনায় দেড় শতাধিক লোক অপহরণকারীর কবলে পড়েছেন।
যারা মুক্তিপণ দিতে পেরেছেন তারা ফেরত আসতে পেরেছেন। মুক্তিপন দিতে না পেরে এক টমটম (ইজিবাইক)চালকসহ ৬ জন খুন হয়েছেন। অপহরণকারিদের নির্মূলে যৌথ ও সাড়াশি অভিযান দাবি করেছেন স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা।