উপজেলার মিঠানলা ইউনিয়নের পূর্ব মলিয়াইশ গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেনের মেয়ে ওই শিক্ষার্থী মলিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। কিশোরীর বাবা দিন মজুর বেলাল হোসেন জানান, গত ১২ মে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে সবুজ ও শুভ নামের দুই বখাটে আমার মেয়েকে জোর করে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যখন ব্যর্থ হয় তারা তাকে গাড়ি চাপা দিতে চেয়েছিলো। ওই ঘটনায় থানায় মামলা পর পুলিশ সবুজকে গ্রেফতার করেছিলো। আরেক আসামী শুভ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। কিছুদিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পায় তারা। মুক্তি পাওয়ার পর আবার এলাকায় এসে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে গভীর রাতে বাড়ির পাশে এসে ঘরের চালায় ঢিল ছুড়ে। বখাটেদের ভয়ে এখন মেয়েকে বাড়িতে না রেখে স্বজনের কাছে রেখেছেন। ওরা বেলাল হোসেনকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আশা ছিলো নিজে শত কষ্ট করে হলেও মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে বড় করার স্বপ্ন ছিলো। বখাটেদের ভয়ে এখন মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি, তাই বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। বাবা হয়েও মেয়ের নিরাপত্তা দিতে পারছিনা। তার পড়ালেখার প্রতি অনেক আগ্রহ ছিলো। মিঠানালা ইউনিয়নের মলিয়াইশ এলাকার ইউপি সদস্য আজিম হোসেন বলেন, বখাটেরা রাতের বেলায় বাড়ির আশেপাশে ঘুরাঘুরি করছে ঘরের টিনের উপর ঢিল ছুটছে বলে আমামে জানালে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি। উনাকে বলেছি মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে কিন্তু তিনি ভয়ে মেয়েকে আর বিদ্যালয়ে পাঠাননি। মলিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করে বিদ্যালয়ে আসতে বললেও তার বাবা-মা মেয়েকে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। তারপও শিক্ষার্থীকে স্কুলে ফেরাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, ওই কিশোরীকে আগে একবার বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে হেনস্তা করায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে। মামলাটি চলমান আছে। জামিনে এসে আসামীরা এখন আবার ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বিষয়টি কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।