দৈনিক দেশি নিউজ২৪
তারা বলেছে, এটা নিহতদের পরিবারগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক যন্ত্রণার পাশাপাশি বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
জাতিসংঘ বলছে, লিবিয়া এক দশকের সংঘাত এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় বিভক্ত এক জাতির দেশ লিবিয়া। গত রোববার তীব্র বৃষ্টির ফলে দুটি বাঁধ ফেটে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষকে গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে। গত ৭ দিনে উদ্ধার হয়েছে ১১ হাজার ৩০০টি মরদেহ। নিখোঁজ আছেন হাজারও মানুষ।
রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির বিলাল সাবলুহ বলেন, ‘ধসে পড়া ভবন ও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে অনেক মানুষ। আমার এক সহকর্মী ডেরনার কাছে সমুদ্র সৈকতে ২০০টিরও বেশি মরদেহ গণনা করেছেন মাত্র দুই ঘণ্টায়।’
লিবিয়ার ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইব্রাহিম আল আরাবি বলেন, ‘মরদেহ, মৃত প্রাণী, আবর্জনা এবং রাসায়নিক পদার্থের কারণে ভূগর্ভস্থ পানি দূষিত হচ্ছে। আমরা জনগণকে ডেরনার কূপের কাছে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
ডেরনার ওয়াহদা হাসপাতালের প্রধান মোহাম্মদ আল-কাবিসি বলেন, ‘পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও কলেরা রোগীর সন্ধান মেলেনি।’
লিবিয়ায় অভিবাসন মিশনের আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, হাসপাতালে তিন হাজার ৯২২ জনের মৃত্যু নিবন্ধিত হয়েছে। বন্যা-কবলিত অঞ্চলে ৩৮ হাজার ৬৪০ জনেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ডেরনার দোকানদার ৬০ বছরের নুরি মোহাম্মদ বলেন, ‘এখনও মাটির নিচে মৃতদেহ আছে... এখন সেখানে লাশের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’
সূত্রঃ রয়টার্স