পার্বত্য অনশ চলমান সংঘাত নিরসনে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) অবশেষে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবরের যেকোনো সময় বান্দরবানের রুমা অথবা থানচি সীমান্তে এই বৈঠক হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক বৈঠকের পর মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা একথা জানিয়েছেন।
কাঞ্চন জয় তংচঙ্গ্যা জানান,কেএনএফ আগামী ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুমায় বৈঠকে বসার কথা শান্তি কমিটিকে জানালেও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি অবশ্য ২ অক্টোবর থানচিতে বৈঠকে বসার কথা কেএনএফকে বলেছে।
অন্যদিকে, কেএনএফের প্রধান নাথান বম বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথাও শান্তি কমিটি থেকে বলা হয়েছে।
মুখপাত্র আরো জানান, এখনো তারিখ সুনির্দিষ্ট না হলেও এ মাসের শেষ অথবা আগামী মাসের প্রথম দিকে কেএনএফ’র সাথে শান্তি কমিটির সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে কেএনএফ এর দেওয়া শর্ত অনুযায়ী সরকারের প্রতিনিধি প্রশাসনের কর্মকর্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহবায়কসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার কারণে কেএনএফ রুমা উপজেলা সীমান্তে সরাসরি বৈঠকে বসার কথা জানায়। তবে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি থানচি উপজেলা সদরে বৈঠক করার কথা কেএনএফকে জানিয়েছে। তবে কেএনএফ’র পক্ষ থেকে বৈঠকের সুনির্দিষ্ট তারিখ স্থান ও তাদের পক্ষে সংগঠনের প্রধান উপস্থিত থাকবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। গত বছরের অক্টোবর থেকে বান্দরবানে কেএনএফ নামে নতুন একটি সশস্ত্র সংগঠন তৎপরতা শুরু করে। এই সংগঠনটির সাথে সংঘর্ষে ও তাদের পুতে রাখা বিস্ফোরকে সেনা সদস্যসহ এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে কেএনএফ এর ১৭ জন সদস্য।
নতুন গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিদ্দাল শারক্বিয়া সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও অভিযোগ উঠে কেএনএফ’র বিরুদ্ধে। বর্তমানে এই সশস্ত্র সংগঠনটির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের কাছে। বান্দরবানে চলমান এই সংঘাত নিরসনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লাকে আহবায়ক করে সম্প্রতি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি এখন কেএনএফ এর সাথে আলোচনা চালাচ্ছে।