সীতাকুণ্ডবাসীর আস্থা অর্জনকারী সাংবাদিক সংগঠন সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনে আলোচনা সভা এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।
জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসকে এম মেজবাহ উদ্দিন খালেদ এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমরানুল ইসলাম মুকুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, সীতাকুণ্ডের উন্নয়নে এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ায় রিপোর্ট করছেন সাংবাদিকরা সব সময়। এই রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যতা তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করছেন এবং সত্যিকারের প্রকৃতিক সৌন্দর্যের দিকে থেকে আমাদের সীতাকুণ্ড বাংলাদেশের উপজেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা সুন্দর উপজেলা। এখানে অনেক কিছু রয়েছে।
এখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সীতাকুণ্ডের উপর দিয়ে গেছে। এখানে পশ্চিমে সমুদ্র, পূর্বে পাহাড়, শিল্পকারখানাসহ অনেক সম্পদ রয়েছে। এখন আমাদেরকে সুস্থ্য ব্যবস্থাপনা দরকার, শিল্পকারখানা গুলোতে সীতাকুণ্ডের লোকজনের বেশি করে চাকরী পেতে পারে সে জন্যে আমাদেরকে সম্মেলিতভাবে কাজ করা দরকার।
আমরা যদি খেয়াল করি আমরা সত্যিকারের ভালো মানুষ, যে সেক্টরে কাজ করি না কেন? এলাকার মানুষের কাছে আমরা স্মরণীয় হয়ে থাকবো আমরা যদি ভালো কিছু করতে পারি। আমাদের যদি সৎ নিয়ত ও ভালো ইচ্ছা থাকে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা যদি কাজ করি তাহলে আমরা সমাজ, ব্যক্তি জীবনে তথা রাষ্ট্রের অনেক উপকারে আসতে পারি।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,প্রবীণ সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধের গবেষক লেখক জামসেদ উদ্দীন, লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুদ্দৌজা, সাংবাদিক বেলাল উদ্দীন, সময়ের আলো পত্রিকার সাবেক সহ - সম্পাদক সোলতান মোহাম্মদ দীপু , সীতাকুণ্ড কামিল এম এ মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আনোয়ার হোসেন, সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত সাময়িকী রিপোর্টার্স জার্নাল এর মোড়ক উম্মোচন এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী'র কেক কাটা শেষে সীতাকুণ্ডে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে শিক্ষায় , সামাজিক, মানবিক, সাংবাদিকতায়, সাহিত্য এবং ক্রীড়ায়সহ ছয় জনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।