ভৈরবে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের পিছনে অপর একটি মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিলে সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার সময় আন্তঃনগর সিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার পর ভৈরবে গঠিত জরুরি কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালেহ (ভৈরব এসি ল্যান্ড অফিসের কর্মকর্তা) জানান, দুর্ঘটনায় ২ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ নিহত হয়েছেন। এবং আরো অনেক নিহত ও আহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে।
আউটার স্টেশনে মালবাহী ট্রেনটি পেছন দিক থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দিলে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের দুটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়।
এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে এর আগে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ট্রেনের বগির নিচে এখনো মানুষ চাপা পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোতে অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, রেলওয়ে কর্মী স্থানীয় লোকজন যৌথভাবে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ফারিয়া নাজমুন প্রভা গণমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সিরাজ-উদ-দৌলা খান জানান, ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার পর পরই স্টেশনের আউটারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় মালবাহী ট্রেনটি পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে সিন্দুর এক্সপ্রেসের দুটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়।
মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল না মানায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, 'প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে মালবাহী ট্রেনটি "সিগন্যাল না মানায়" এ সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে উদ্ধার সহায়তায় যোগ দিয়েছে বিজিবি।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার জীবন মিয়া জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
এ দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।