চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন শতাধিক আর্থিকভাবে অসচ্ছল রোগী চিকিৎসা নিতে আসে, এসব রোগীদেরকে একপাতা প্যারাসিটামল,হিসটাসিন ও নাপা যেকোন একপ্রকার ঔষধ দিয়ে এবং কিছু ঔষধ লিখে দেন কর্তব্যরত ডাক্তাররা। আর সাথে তিন-চারটি পরিক্ষা বাহির থেকে করতে লিখে দেওয়া হয়।
বেশীরভাগ পরীক্ষাগুলো জননী ডায়াগনস্টিক ল্যাবে করতে বলা হয়। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও অসচ্ছল রোগী গুলোকে এভাবে হয়রানি করছে ও আর্থিকভাবে একেবারে ফকিরের কাতারে নিয়ে যাচ্ছে এসব রোগীদের!
ফটিকছড়ি নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু অসাধু ডাক্তার সরকারীভাবে রোগীদের সবরকমের চিকিৎসা ও চেকআপ করার ব্যবস্থা থাকলেও, তাঁরা অসহায় রোগীদের দ্রুত সুস্থতার দিকে নজর না দিয়ে তাদের দিয়ে, তাঁরা নিজেদের পকেটভারি করছে, যেন ফকিরমেরে ভাইরকেঁড়ে নেওয়ার মতো অবস্থা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগী থেকে জানাযায়, ফটিকছড়ি নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসব অতিলোভী দুর্নীতিবাজ ডাক্তাররা সামান্য কোনো কিছু হলেই সেটির ভালকোনো চিকিৎসা বা চেকআপ করার ব্যবস্থা থাকলেও শুধু তাদেরকে জননী ডায়াগনস্টিক ল্যাবে চেকআপ করার জন্য বলে থাকেন।
এর বিকল্প কম খরচে অন্যান্য ডায়গনস্টিকে যেতে বলেননা! আমরা গরীব মানুষ ঠিকভাবে আহার যোগাতে পারিনা! এমনকি এসব চেকআপ বা পরীক্ষা করার জন্য উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে হলেও পরিক্ষা করাতে বাধ্য হই।
এসব চেকআপ বা পরিক্ষা করে আবার ডাক্তারের কাছে সেই রিপোর্ট নিয়েগেলে ভাল করে না দেখেই আবার রোগ বর্ণনা অনুযায়ী ঔষধ লেখে দেন বাহির থেকে কিনার জন্য।
অবস্থা এমন, যেন প্রত্যেক রোগীর যে কোন অবস্থাতেই চেকআপ বা পরিক্ষা করাটাই জরুরী, চিকিৎসা ও সুস্থতা নয়।
এবং যেসব রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে পারে, তাদেরকে অনেকটা জোরপূর্বক রিলিজ দিয়ে দেন, এবং চমেক হাসপাতাল রেফার করেদেন।
কোন জটিল রোগী না হলেও কেন রেফার করলেন এর কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়না। এসব ঘটনা পুরুষ ওয়ার্ডে-তো বটেই, মহিলা ওয়ার্ডে ঘটছে অনেক বেশি।
এই হাসপাতালে চিকিৎসার নামে পরিক্ষাটাই বড় চিকিৎসা বলে জানা গেছে, রোগী ও বিভিন্ন সূত্র থেকে।
রোগীদের দাবি এই ফটিকছড়ি নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন হয়রানি যেন বন্ধ হয়, এবং যারা এসব রোগীদের নিয়ে ব্যবসা করছে তাদের জবাবদিহিতায় আনা হোক।