ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিরাজগঞ্জ সভায় দলটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেছেন,
ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে আগামী ৩ নভেম্বর ঢাকার রাজপথে ঝাপিয়ে পড়ব।
বাংলাদেশে রাতের ভোট করতে দেয়া হবে না।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন হতে হবে। ২০১৪ ও ১৮ সালে আমলা ও প্রশাসনকে ঘুষ দিয়ে তাদের অপশক্তি ব্যবহার করে রাতের ভোটে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছিল।
এ কারনেই কোন আমলা-প্রশাসন এমনকি একজন ওসিই সরকারের এমপিদের কথা শোনেনা। এমপিদের যেন নাকে খত দিয়ে ঘুরায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজারষ্টেশন স্বাধীনতা স্কয়ার চত্ত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ জাতীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের দাবীতে বিশাল সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাম্যতা, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষার জন্য পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর এখনো সাম্যতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার কোনটাই দেশের মানুষ পায়নি।
তিনি বলেন, সাম্যতা মানে সকলের সমান অধিকার। কিন্তু দেশে শুধু এখন আওয়ামীলীগের অধিকার রয়েছে। আওয়ামীলীগ করলে আপনার চাকুরী হবে, বাসস্থান থাকবে ও চিকিৎসা সেবাসহ সব সুযোগ সুবিধা থাকবে। আর অন্যদলের মানুষ হলে কোনটাই পাবেন না।
মানবিক মর্যাদা মানে সকলের মর্যাদা থাকবে। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামীলীগ যারা করে শুধু তাদেরই মর্যাদা আছে। অন্য কারো নেই। অন্যদলের যোগ্য সম্পন্ন লোকদেরও প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত করা হচ্ছে। সামাজিক ন্যায় বিচারও দেশে নেই।
আওয়ামীলীগের কেউ ধর্ষণ, দুর্নীতি ও হত্যা মামলার আসামী হলেও তারা খোলা আকাশের নীচে বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। কিন্তু অন্য দলের কেউ অপরাধ না করলেও তাদের জেলে থাকতে হচ্ছে।
তাই পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যেমন- যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হয়েছিল তেমনি সাম্যতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার ফিরিয়ে আনতে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
আমলাদের সমালোচনাা করে বলেন, বিদেশে যত টাকা পাচার হয়েছে, দেশে যত দুর্নীতি হয়েছে তার অধিকাংশের সাথেই আমলারা জড়িত। তাই আমলারাও চাচ্ছে তাদের যেন কোন বিচার না হয়-এজন্য রাতের ভোটে আবারো আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে ষড়যন্ত্র করছে। এগুলো প্রতিরোধ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি মুহিবুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাজিপুর উপজেলা সভাপতি হাফেজ আবু জাফর আহমেদ, সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি গোলাম উসমানী, উল্লাপাড়ার সাধারন সম্পাদক মাওলানা মানসুরুল হক, বেলকুচির সাধারন সম্পাদক, হাফেজ জয়নাল আবেদীন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ, ইমরান হোসাইন, মুফতি আব্দুস সামাদ, ডাক্তার মোকলেসুর রহমান ও মঈনুল ইসলাম প্রমুখ।