গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর ২০২৩ ইংরেজি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ, আওয়ামিলীগ ও বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষের জেরে বিএনপি ও জামায়াত ঘোষিত হরতাল আজ (২৯ অক্টোবর ২০২৩ ইংরেজি) সকাল থেকে চলছে, এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রামের কোন প্রকার সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ঢিলেঢালাভাবে হরতাল চলছে।
মতিঝিল শাপলা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও বিএনপির সাথে পুলিশ আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ ও একজন পুলিশ সদস্য নিহত এবং একজন বিএনপি'র কর্মী নিহত হওয়ার কারণে দলটি বিএনপি'র সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করছে বিধায় বিএনপির সাথে এই হরতাল কর্মসূচিতে নিজেদেরও জড়ালো।
এটি যুগপথ আন্দোলনের শেষ পর্যায়ের ঐক্যমত্যের আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এই হরতালে চট্টগ্রামে রোববার (২৯ অক্টোবর ২০২৩ ইং) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর,বহদ্দারহাট,কাজীর দেউড়ি,জিইসি আগ্রাবাদ,নিউমার্কেট,নতুন ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হরতালে যানবাহন চলাচলের এমন দৃশ্য ছোখে পড়েছে।
সকাল থেকে রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা রয়েছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে মোটামুটি গাড়ী ও সাধারণ যাত্রীদের উপস্থিতি অনেকাংশেই কম।
কিছুকিছু সিএনজি অটোরিকশা চালক হরতালেও সিএনজি চালাচ্ছে। হরতালে ঝুঁকি নিয়ে কেন গাড়ি চালাচ্ছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন,আমাদের তো গাড়ী চালাতে হবে। গাড়ি না চালাইলে আমাদের পরিবার চলবেনা। তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও রাস্তায় গাড়ী চালাচ্ছি।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তাঁরা বলছেন, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সড়কে সার্বক্ষণিক উপস্থিত আছি।
পথচারী ও চাকরিজীবীরা বেশিরভাগ হেঁটেহেঁটে তাদের কর্মস্থলে যাচ্ছেন, অন্যান্য দিনের মতো আজ যাত্রীবাহী বাস চলাচল কম থাকার কারণে তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে বলে পথচারী ও চাকরিজীবীরা জানান।