নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজ শাখার ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের অফিস ভাংচুর করা হয়েছে এতে আহত হয় ৬ জন । মঙ্গলবার সাড়ে দশটার দিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তিনিট মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার এনএস কলেজের সামনে দুই গ্রুপে পুনরায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় জেরা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের অফিস ভাংচুর করা হয়।
পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থী সাদ বিন জাকির বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপিত ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্যাডেকোন সম্মেলন ছাড়াই ওমর ফারুক লিটনকে সভাপতি ও রবিনকে সাধারণ সম্পাদক করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়।এই কমিটি মঙ্গলবার রাতে আনন্দ মিছিল বের করতে চাইলে বিক্ষুদ্ধ সাধারণ কর্মিরা বাধা দেয়। এসময় ফারুক ও লিটনরা পালিয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, প্রকৃিত ছাত্রলীগ কর্মীদের বাদ ছাত্রদল থেকে আসা হাইব্রিড নেতা কর্মিদেও দিয়ে কমিটি গঠন করার প্রতিবাদে বুধবার সকালে কলেজের মূল ফটকে বিক্ষোভ শুরু করে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকরা। জেলা ছাত্রলীগ ফরহাদ বিন আজিজ সমর্থিত পকেট কমিটির নেতা লিটন ও রবিন সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায় । এক পর্যায়ে তারা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের হাফরাস্তার অফিসে হামলা করে। এসময় তারা গুলি ছুড়ে আতংকের সৃষ্টি করে এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে । তবে পুলিশ হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ বলেন, যোগ্যদের নিয়েই কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে পদবঞ্চিতরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করছিল। তখন তিনি ও তার সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময তার সমর্থকদের সাথে বিক্ষোভ কারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। কার্যালয় ভাংচুর ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ সত্য নয়।
উল্লেখ্য সংঘর্ষে জড়িত দু গ্রুপই নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম শিমুল সমর্থক বলে জানা যায়
নাটোর থানার ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদ বলেন , সংবাদ পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেননি।