চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে কুমিরা-সন্দীপ ফেরিঘাট এলাকায় প্রাইভেটকার ও মাইক্রোতে প্রকাশ্যে চলছে ছাত্রলীগের রমরমা চাঁদাবাজি। সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ চাঁদাবাজি বন্ধে নির্দেশনা দিলেও তা মানেননি স্হানীয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
বৃহশপতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে মোঃ হোসেন ও মোঃ সবুজ নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ফের চাঁদা আদায় করতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্হানীয় ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতারা জানান, কুমিরা-সন্ধীপ ফেরিঘাটে আসা যাত্রীবাহী প্রতিটি প্রাইভেটকার, মাইক্রো থেকে ১০০ টাকা করে ফি আদায় করছে কয়েকজন যুবক। দৈনিক প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।
ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল আলম মেজবাহ ও সাজিদ রায়হানের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি গত তিন বছর ধরে চাঁদা আদায় করে আসছে। তৌহিদুল আলম মেজবাহ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং সাজিদ রায়হান সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
এতে মেজবাহ ও সাজিদের সঙ্গে মইনুল হাসান মিলকির সমর্থকদের সংঘর্ষ হয় কয়েকবার। এলাকায় শুরু হয় উত্তেজনা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় মিলকি গ্রুপের জাহাঙ্গীর, ইমন ও নীরব নামে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছিল।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল আলম মেজবাহ বলেন, প্রাইভেটকার থেকে চাঁদাবাজির সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়। স্থানীয় নৌঘাটের ইজারাদার গাড়ির সিরিয়াল নির্ধারণ করার জন্য লোক নিয়োগ করে টাকা তুলছেন।
কুমিরাঘাট ইজারাদারের অংশীদার শামছুল আলম দুলু জানান, খাজনা আদায়ের সঙ্গে ইজারাদারদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগের একটি মহল হয়তো সেই চাঁদা আদায় করছে।
কুমিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাইনুল হোসেন মিলকি জানান, গত তিন বছর ধরে কুমিরা ফেরিঘাটে আসা প্রতিটি প্রাইভেটকার-মাইক্রো থেকে মেজবাহ ও সাজিদের সমর্থকরা ১০০ টাকা করে আদায় করছে। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার টাকা আদায় হয়। সেই টাকা ভাগাভাগি হয়।
স্হানীয় প্রাইভেটকার চালক আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, হোসেন ও সবুজ নামে দুই ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ টাকা করে আদায় করেন। স্থানীয় ছাত্রলীগের নামে এই টাকা তোলা হচ্ছে বলে জানান।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত রোববার প্রাইভেটকার থেকে টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। তদুপরি এ ধরনের চাঁদাবাজি অন্য কেউ করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।