আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম সংসদীয় আসন (৪) সীতাকুণ্ড আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে সর্বশেষ আঃলীগের পার্টি কার্যালয়ে ৭ জন মনোনয়ন ফরম জমা করেছেন।
গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ দিদারুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম আদালতের মহানগর সাবেক পিপি এডভোকেট ফখরুদ্দীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান কাউন্সিলর ডঃ নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগের উপ কমিটির আপ্যায়ন সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, শিল্পপতি ও বাংলাদেশ কৃষক কমিটির সদস্য মোঃ পারভেজ হোসেন সান্টু, ব্যারিষ্টার চৌধুরী মোঃ জিন্নাত আলী, আবু মনির মোহাম্মদ শহিদুল হক, রতেন্দ্র ভট্রাচার্য্য।
দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে প্রার্থীরা জোড়লবিং এ ব্যস্ত আছেন।
কারণ অনেক আগে থেকে দলীয় ভাবে একটি ঘোষনা দেয়া হয়েছে এবার যারা দলের জন্য ত্যাগী এবং তৃণমূল থেকে উঠে এসে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছে, এমন ব্যক্তিকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে। সীতাকুণ্ডবাসী সহ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও সেটাই আশা করে।
সেই দিক থেকে হিসাব-নিকাশ করতে গিয়ে এই জনপদের জনগন বাকের ভূঁইয়াকে মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন। সে নিজের জীবণবাজি রেখে দলের জন্য তিন যুগ ধরে লড়াই করে দলকে টিকিয়ে রেখেছেন বলে দাবী করেন।
নিজের সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে দলের জন্য,নেতাকর্মীদের জন্য অর্থ বিলিয়ে দেয়। এলাকাবাসী জানান,বাকের ভূঁইয়া টানা ৫ বার দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক থাকাসহ বর্তমানে উপজেলা সভাপতি হিসাবে গত ৪ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছে।
তাছাড়া তিনি একবার সফল উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল। তাই তাকে দলীয় নমিনেশন দেয়ার জন্য পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ বদিউল আলম,চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মহসিন জাহাঙ্গীর, সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, সহ-সভাপতি ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আজিজুল হক, সহ-সভাপতি মুরাদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার,
উপজেলা যুগ্ন সম্পাদক সাঈদ মিয়া সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী আশা করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা কারো কথায় কান না দিয়ে তাকে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিবে।
অপরদিকে স্হানীয় বর্তমান সাংসদ দিদারও ১৫ বছর ধরে এলাকায় সরকারী ভাবে বিপুল পরিমাণ কাজ করে মানুষের আস্হা অর্জন করে। তার আমলে এলাকায় তেমন কোনো সংঘাত মারামারি কাটাকাটি হয়নি, এবং তিনি এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন করেছেন।
এদিকে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার কয়েক মাস আগে থেকে তৃনমূল বিহীন বেশ কয়েক জন রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী নির্বাচনী নৌকার টিকেট নিতে বিভিন্ন ছোট খাট প্রোগ্রাম ও দান সদকা দেয়া শুরু করে।নআর এ আশাই তফসিল ঘোষনার পর দলীয় ফরম নিয়ে পূরণ করে জমা দেয়।
অপরদিকে জাতীয় পার্টি থেকে দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ দিদারুল কবির দিদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সালাউদ্দিন মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন।