বিএনপি'র সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের জোট ছেড়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায়, বাংলাদেশ কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিমকে তার নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছতি ঘোষণা করা হয়ছে।
বুধবার বিকেলে হাটহাজারী উপজলো ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনরে নেতার্কমীরা তাকে এই অবাঞ্ছতি ঘোষণা করেন।
এর আগে বুধবার কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতা ও বেঈমানি বলে আখ্যায়িত করেছেন, তারই বিগত সময়ের রাজনৈতিক মাঠের সহকর্মী বিএনপির জোটের নেতারা ।
জোটের স্থানীয় নেতারা আরো বলনে, এই দুঃসময়ে দেশ ও হাটহাজারী গণ মানুষের সঙ্গে বেঈমানি করায় নব মীরজাফর হিসেবে হাটহাজারীর মানুষ স্মরণ রাখবে।
হাটহাজারী উপজলো বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ ও সদস্য সচিব গিয়াসউদ্দিন অজ্ঞাতস্থান থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিবৃতিতে বলনে, বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদশ কল্যাণপার্টি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাবার ঘোষণার এহেন কর্মকাণ্ডে হাটহাজারীর সাধারণ জনগণরে মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এবং এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর হাটহাজারী উপজলো বিএনপি'র নেতা কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়ছে।
মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম শেষ বয়সে এসে , লোভলালসায় অনৈতিক সুযোগ- সুবধিা গ্রহণ করে এমন ঘৃণিত কাজ করেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে তারা আরও বলনে, ২০১৮ সালে বিএনপির ১০০ ভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল ইব্রাহিমকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করে তাকে সম্মানিত করা হয়েছিল। সেই সময় উপজেলা বিএনপি'র সব ইউনটি তার পক্ষে কাজও করে।
কিন্তু বিএনপি নেতা কর্মীদের অজ্ঞাত রেখে মহাজোটের প্রার্থীর কাছে আর্থিক লেনদেন ও সুবিধা নিয়ে নিজেকে আত্মসর্মপণ করেন।
তার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করতে গিয়ে হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলা ও বিভিন্ন হামলার শিকার হয়েছেন।
তাই আমরা হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা মেজর জেনারেল ইব্রাহিমকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।
পাশাপাশি তাকে হাটহাজারীতে অবাঞ্ছতি ঘোষণা করলাম।
বিবৃতির বক্তব্যের বিষয়ে জানার জন্য সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং উপজেলা বিএনপির আহবায় নূর মোহাম্মদ এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে কেউ ফোন রিসিভ করেন নাই।