এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত ও প্রাচীন ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং উম্মুল মাদারিস খ্যাত দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহ্ফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, কুরআন বুকে ধারণ করা আলেম-উলামার উপর যারা জুলুম-অত্যাচার করে, জেলে পাঠায়; তারা কুরআন থেকে দূরে থাকার কারণেই এগুলো করে।
কুরআনের আদশ তাদের ভিতরে থাকলে তারা কখনোই আলেম-উলামার উপর জুলুম এবং অন্যায় ও অবিচার করতে পারতো না। সুতরাং শান্তি, ইনসাফ ও সফলতা চাইলে অবশ্যই সবকিছু কুরআন মতো চালাতে হবে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষাধিক মুসল্লীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মাদ্রাসার বার্ষিক মাহ্ফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উক্ত সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী।
এসময় তিনি বলেন, জীবনের বাঁকে বাঁকে মানুষ ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা রকমের গুনাহে মানুষ জড়িয়ে পড়ে। এসব গুনাহের থেকে বাঁচতে হলে দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে পরকালমুখী হতে পারলে সহজেই আল্লাহর নাফরমানি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন-আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা মুফতি আহমাদুল্লাহ, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, আল্লামা সাজেদুর রহমান, আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা আবদুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা ওসমান ফয়জী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ, মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, ড. আফম খালিদ হোসেন, মাওলানা মুশতাকুন্নবী কাসেমী, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা খোবাইব, মাওলানা কিফায়াতুল্লাহ আজহারী ও মাওলানা বদরুল আলম হামিদী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দস্তারবন্দি সম্মেলন উপলক্ষ্যে মাহফিলের আগের দিন বৃহস্পতিবার ও মাহফিলের দিন শুক্রবার বাদ ইশা প্রতিষ্ঠানটির বিগত শিক্ষাবর্ষে (১৪৪৩-৪৪হি.) দাওরায়ে হাদীস (টাইটেল) উত্তীর্ণ আড়াই হাজার তরুণ আলেমকে প্রতিষ্ঠানের নাম ও মনোগ্রাম খচিত বিশেষ সম্মানসূচক পাগড়ী প্রদান করা হয়।