চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে সন্ত্রাস,অপরাধ ও মাদকের বিস্তার নির্মূলে সক্ষম হঠাৎ ওসির বদলীতে সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্হানীয়দের ভাষ্য মতে , সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা,মাদক-সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে নির্মূলে কঠোর ভূমিকার কারণে এলাকায় চুরি ডাকাতি অনেকটা বন্ধ হয়।
অত্র থানায় কর্মকালীন সময়ে তার বলিষ্ট নেতৃত্বে এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ৩৬ জনকে গ্রেফতার করে এবং উক্ত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মোট ২৬টি দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬২ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ উদ্ধার করে।
তার কর্মকালীন সময়ে থানা এলাকায় বিভিন্ন কারণে মোট ১১টি হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে।যাহার মধ্যে ৮টি মামলার ঘটনার কোন প্রকার “ক্লু”না থাকা স্বত্বেও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাহার বিচক্ষনতা ও দূরদর্শীতায় মামলা সমূহের মূল রহস্য উৎঘাটন করে।
এরপর প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমানসহ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। বিগত আন্দোলনে সহিংশতার ঘটনা ঘটলেও, বর্তমানে তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যায়।
তার যোগদান পূর্ববর্তী সময়ে অত্র এলাকায় প্রতি নিয়ত চুরি,দস্যুতা,ডাকাতির ঘটনা ঘটার নজির থাকলেও তার যোগদানের পরবর্তী সময়ে কোন ঘটনা ঘটেনি।
তবে উক্ত সময়ে ২টি দস্যুতার ঘটনা ঘটলেও ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রকৃত আসামী গ্রেফতারসহ মূল রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হয়।সর্বোপরি তোফায়েল আহমদ ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য প্রতিটি বিটে বিভিন্ন সময় বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং করে সচেতনতা বৃদ্ধি করে ছিল বলে কমিউনিটি পুলিশীং এর সদস্যরা জানান।
এছাড়া থানা এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান সহ সনাতন হিন্দু সম্প্রদয়ের ইতিহাস প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান সীতাকুন্ড জাতীয় মহাতীর্থের তথা ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ ধামে শিব চর্তুদর্শী উৎসব ও মেলা,শারদীয় দূর্গোৎসব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করেন।
পুলিশীং এর সদস্যরা আরো বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন , এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও সবধরণের সামাজিক অপরাধ নির্মূলে জনগণকে সচেতন করতে তিনি বিরামহীন কাজ করে।
বিভিন্ন অপরাধ দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে প্রশংসনীয় হয়ে উঠে।
এলাকায় মাদক চোরাকারবারীদের বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ তুঙ্গে উঠে ছিল।কিন্তু সে পর্যায়ক্রমে মাদক কারবারী ও সেবনকারীসহ সকল অপরাধ মূলক কাজকে কমিয়ে আনতে সক্ষম হন।
থানায় এসে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়ায় পুলিশের প্রতি অসহায় মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে বলে সীতাকুণ্ডবাসী জানান।
অসহায় মানুষ তাদের অভিযোগ নিয়ে তার রুমে গেলে তাদের অভিযোগ শুনে প্রদক্ষেপ নিতেন বলে ভূক্তভোগিরা জানান।তারা আরো বলেন,তার আচরণে মুগ্ধ হয়ে ওসিসহ থানার সকল অফিসারের জন্য দোয়া করি।যাতে বর্তমান ওসি বদলি হয়ে গেলেও অন্যান্য অফিসাররা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কঠোর পরিশ্রম করেন।
এদিকে সচেতন মহলের ধারণা নির্বাচন কালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ বর্তমান ওসি তোফায়েল আহমেদকে অত্র থানায় রাখা উচিত ছিলো।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply