ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা (কুড়ারপাড়) এলাকার আয়নাল হকের ছেলে রাসেল (ভুট্টু) নামের এক কিশোর কে অপহরণ করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঐ গৃহবধূ বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় ১৮ জন এজাহার ভুক্ত ও ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাত নামায় আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, সমবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৫.১০ ঘটিকার সময় একই এলাকার মৃত আজগর আলীর পুত্র ১। মোঃ আব্দুস সাত্তার (৪০), ২। মোঃ মোস্তফা মিয়া (৪২), ৩। মোঃ ফজলু মিয়া (৩৫), ৪। মোঃ আবু সাইদ (৪৫), ৫। মোঃ মাইদুল ইসলামসহ ভিকটিমের বসতভিটার জমি দখলের উদ্দেশ্যে বাড়িতে এসে তার বসত বাড়ির উত্তর দুয়ারী শয়ন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে ভিকটিমকে ঘর হতে চলে যেতে হুমকি দিতে থাকে। ভুক্তভোগী তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে মামলার ১নং আসামি আব্দুর ছাত্তার ভিকটিম কে জোর পূর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করে। পরে মোস্তফা মিয়া, ফজলু মিয়া, আবু সাঈদ ও মাইদুল ইসলামসহ রাসেল (ভুট্টু) নামের ১৫ বছরের এক কিশোর কে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর ভোর আনুমানিক ০৬.৩০ ঘটিকার সময় জুয়েল মিয়া (২৩), শাহিন মিয়া (২২), সাদ্দাম হোসেন (২৫), মোমেনা বেগম (৪০), হাফিজা বেগম (৩৫), নাজমা বেগম (৩০), সাবিনা বেগম (১৮), মরিয়ম বেগম (২০), মার্জিনা বেগম (২০), আব্দুল জলিল (৪৫), আসরাফুল ইসলাম (২২), আলিয়া বেগম (৪০),সহ আরো অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনের ভাড়াটিয়া এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে ঐ বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে বসত বাড়ি ভিটার জমি দখল করার উদ্দেশ্যে বাড়ির চতুর দিকে থাকা আনুমানিক ১ লক্ষ টাকার বিভিন্ন গাছপালা কেটে ফেলে এবং বসত বাড়ির ০৩ টি ঘরে থাকা আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার মালামাল ও অটোরিক্সা ক্রয়ের জন্য ট্যাংকে রাখা ৮৫ হাজার টাকা চুরি করে। বিবাদীগণ টাকা ও মালামাল চুরি করার পর এক যোগে তাদের হাতে থাকা দা, কুড়াল, খন্তা, সাবল দ্বারা ভুক্তভোগীর বসত বাড়ির আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকার ৩ টি ঘর ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে ঘরের টিন কাট বাঁশ ও ঘরের সিড়ির খাম গুলো চুরি করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন,আসামিরা আমার ছেলে কে ৩ দিন আগে অপহরণ করে নিয়ে যায়, আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে, আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে টাকা পয়সা চুরি করে নিয়ে যায়। আমি থানায় মামলা করেছি কিন্তু পুলিশ আমাকে সহযোগিতা করছে না। এখন পর্যন্ত আমার সন্তান, ঘরবাড়ি উদ্ধার তো দুরের কথা পুলিশ একজন আসামিও ধরে নি এমন কি কোন আসামির বাড়িতেও যায় নি। আসামিরা উল্টো আমাকে এবং আমার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং অপহরণ হওয়া কিশোর কে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। এবং মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।