চট্টগ্রামের জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় তিন ঘন্টার ব্যবধানে তিনজন খুন হযেছে,পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
সীতাকুন্ড উপজেলাস্হ বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে নুর মোস্তফা ওরফে বজল মিয়া (৫৫) নামে এক গ্রাম্য সর্দারকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তি উপজেলা যুবদলের নেতা মোঃ ইসমাইলের বড় ভাই।
মোঃ ইসমাইল জানায়, রোববার সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালানগর গ্রামের নোয়াপুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বজল এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মুজিবুল হকের পুত্র।
এদিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত যুবক তৌহিদুল ইসলাম নিহত বজল এর আপন মামাতো ভাই। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের তথ্যসূত্রে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ জানান, পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জেরে সন্ধ্যায় নুর মোস্তফাকে একা পেয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে তৌহিদুল ইসলাম ও তাঁর অনুসারী ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ঘটনার পর চারদিক থেকে মানুষ জড়ো হতে থাকলে হামলাকারী তৌহিদুল ও তাঁর অনুসারীরা ফাঁকা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও ডাকাতিসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রাম্য সালিশ হয়। সালিশে তাকে গ্রামে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। যার কারণে নুর মোস্তফার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তৌহিদুল। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং) সন্ধ্যায় তাকে একা পেয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ জানান, হামলা পরবর্তীতে আহত ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। শরীর থেকে তাঁর ডান হাত বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি বুকে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পূর্ব বিরোধের জেরে গ্রাম্য সর্দারকে কুপিয়ে হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। হত্যাকারী তৌহিদুল একজন স্বীকৃত ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি,খুন সহ ১২ টি মামলা রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সলিমপুরস্হ জঙ্গল সলিম পুরস্হ ছিন্নমূল এলাকায়,বন্ধুদের কে নিয়ে বেডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক প্রর্যায়ে সহপাটিরা পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মোঃ ইমন (১৫) নামে এক কিশোর কে,তাকে প্রতিবেশীরা চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দুইটায় তার মৃত্যু ঘটে।ইমন ছিন্নমূল মোঃ সবুজের ছেলে।
অপরদিকে মোঃ আলমগীর (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করে।সে বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিল। তিনি মধ্যম সোনাইছড়ি গহরীতলা মোঃ আফাজ উল্যার ছেলে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন জানায়, তিনটি ঘটনাই ব্যক্তিগত রেষারেষির কারনে হয়েছে, আমরা আসামীদের ধরার জন্য অভিযান চালাচ্ছি, এঘটনার৷ গুলোর পৃথক পৃথক তিনটি খুনের মামলা হয়েছে।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply