পাইকারি বাজারে আলুর দাম ৬০ টাকা, খুচরা বাজারে ৮০ টাকা, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান করার দাবি ও অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দরকার বলছেন, সাধারণ মানুষ।
সাধারণত নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ে। এ সময়টাতে আলু উৎপাদনের ভরা মৌসুমও বলে থাকে কৃষকেরা। তবে এই ভরা মৌসুমে নতুন আলুর দাম বাড়ছে।
গত একদিনের ব্যবধানে নতুন আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুরাতন আলু। তবে পাইকারী বাজারে পুরাতন আলুর মজুদ ফুরিয়ে আসছে। আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পুরাতন আলু শেষের পথে।
কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু আসছে না। বর্তমানে আলুর যে পরিমাণ চাহিদা আছে, সেই হিসেবে সরবরাহ নেই। ফলে দাম বাড়ছে।
তবে ভোক্তারা বলছেন, আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে এক কেজি আলু কিনতে ৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক।
জানা গেছে, প্রতি বছর দেশে এক কোটি টন আলু উৎপাদিত হচ্ছে। এরমধ্যে দেশে ব্যবহার হয় ৭০ লাখ টনের মতো। তবে চলতি বছর তুলনামূলকভাবে আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। বর্তমানে কোল্ডস্টোরেজে যে আলু আছে তার মধ্যে প্রায় সবই বীজ আলু।
নগরীর চাক্তাই খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি জয়পুরহাটের নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। খুচরা বাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, জয়পুরহাটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন–সেখানে গত মাসে বৃষ্টির কারণে আলুর ফলন নষ্ট হয়েছে। যার ফলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়নি। বাজার চাহিদা অনুযায়ী নতুন আলুর সরবরাহ নাই। অন্যান্য বছর এই সময়ে পুরনো উদ্বৃত্ত থাকলেও এ বছর পুরনো আলু একেবারে আসছে না। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। নতুন আলুর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।
বদ্দারহাট ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম সওদাগর বলেন, বাজারে নতুন আলুর ঘাটতি আছে। পুরনো আলু নেই বলেলেই চলে। নতুন আলুর দাম আরো বেশি ছিল। মাঝখানে সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমে যায়। এখন আবার দাম বাড়ছে।
বাজারে প্রত্যেক সবজির দাম চড়া। এক মাত্র ২০–৩০ টাকা দরে আলু পাওয়া যেতো। এখন সেটিও আকাশচুম্বি। এভাবে মানুষের জীবন যাপনের ব্যয় বাড়লে পরিবার চালাতে হিমশিত খেতে হবে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাবো আলুর বাজারে যেন নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।