সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম -৪ পাহাড়তলী,আকবরশাহ (আংশিক) সীতাকুণ্ড উপজেলা আসনে এবার সংসদ সদস্য প্রার্থী দাঁড়িয়েছে ০৭ (সাত) জন,ছয়জন প্রথম বাছাইয়ে হলেও একজন হাইকোর্টের রায়ে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। তবে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নৌকা,ঈগল ও লাঙ্গল প্রার্থী। বাকি চার প্রার্থী নামমাত্র গন সংযোগ করছেন।
সীতাকুণ্ড -৪ আসনে প্রার্থীরা হলেন এস এম আল মামুন (নৌকা) মোঃ দিদারুল কবির দিদার (জাপা,লাঙ্গল), মোঃ মোজাম্মেল হোসেন (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ,চেয়ার), মোঃ ইমরান (সতন্ত্র,ঈগল),খোকন চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি,সোনালী আঁশ), শহিদুল ইসলাম চৌধুরী (বাংলাদেশ কংগ্রেস,ডাব), মোঃ আক্তার হোসেন( বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট,টেলিভিশন)।
নৌকা, ঈগল ও লাঙ্গলের প্রার্থী ছাড়া বাকি দলীয় প্রার্থীগন তাদের দলের মনোনয়ন মার্কা নিয়ে নির্বাচন করলেও সীতাকুণ্ডবাসী তাদের কে তেমন চিনেননা। গনসংযোগেও তেমন দেখা যায় না, তাদের বাড়ী আসনের নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় হওয়ায় কখনো পাড়ার লোকজন ছাড়া অন্য কোন ভোটার চিনেননা বলেও মনে হচ্ছে।
তবে সতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইমরান ,ইসলামী ফ্রন্টের মোজাম্মেল তাদের ভাড়ী সোনাইছড়ি ও বাটিয়ারী এলাকায় হওয়ায় তাদের ব্যক্তিগত কর্মে মোটামুটি কিছুটা পরিচিত লাভ করেছেন।
সতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন বাছাইকালে বাতিল হয়ে যাওয়ায় ইমরান ও হাইকোর্টে আফিল করে, অফিলে রায় তাদের পক্ষে যাওয়ায় তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যান।
এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নিজ ইউনিয়ন এলাকা বাড়বকুণ্ড ও কুমিরা, বাশঁবাড়ীয়ার কয়েকটি এলাকায় গনসংযোগ করেছে। ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী মোজাম্মেল সোনাইছড়ি ফৌজদারহাট কয়েকস্হানে গনসংযোগ করেছেন।
গনসংযোগে এগিয়ে আছেন নৌকা প্রার্থী এস এম আল মামুন, সতন্ত্র প্রার্থী ইমরান ও জাপার দিদার। ওনারা আসনের নগরীর পাহাড়তলী, আকবর শাহ থানা এলাকায় ও উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় উঠান বৈঠক, সভা সমাবেশ,গনসংযোগ করে যাচ্ছেন। প্রার্থীগন ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যগনও গনসংযোগে মহিলাদের কে নিয়ে গনসংযোগ করছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী দিদার জানায়, নির্বাচনী মাঠ পাচ্ছিনা,কর্মীরা ভয়ে কাজ করতে সাহস পাচ্ছেনা,সর্বশেষ মাঠে থাকতে চেষ্টা করবো। ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন জানায়,আমাদের কিছু নিজস্ব ভোটার আছে,তবে অন্য ভোটারদের কেও আমাদের কে সমর্থন করার চেষ্টা করছি।
সতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইমরান আগে থেকেই মাঠে নিজ এলাকায় কিছু সেবামূলক কাজ করেছেন,এলাকায় অসচ্ছল লোকদের কে সাহায্য সহযোগীতা,করুনাকালে সাহায্য প্রদান,সাংবাদিক,সরকারী দফতর গুলোতে পরিচয় ও মত বিনিময় করেছেন।
এদিকে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ছাড়া অন্য কোন ভোটারদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছেনা। নির্বাচন তফসিলের পর পর্যন্ত আঃলীগের নেতাদের মধ্যে তিন ভাগে বিভক্ত থাকলেও মনোনয়ন প্রদানের পর দলটির মধ্যে কোন বিভক্তি দেখা যায়নি, তিন গ্রুপ এক হয়ে কাজ করছে নৌকার পক্ষে।এবং বিপুল ভোটে পাশ ও করবে নৌকা এমনটি প্রকাশ করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া।
এদিকে বিএনপি নির্বাচনে না আসায় বিএনপি সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে যাবেন কিনা গেলেও ভোট কাকে দিবেন এখনো বুঝা যাচ্ছেনা। সব মিলে নৌকা,লাঙ্গল ও ঈগল এর মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে বলে ভোটাররা মন্তব্য করতে শুনা যায়।