সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রতিপক্ষ সুমনের হামলায় গুরুতর আহত অবস্হায় চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় রয়েছে।
জানা যায়, বুধবার (৩ জানুয়ারী) দুপুর দেড়টায় সীতাকুণ্ড স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের বিপরীতে ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দোয়াজী পাড়া রাস্তার মাথায় উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী আব্দুল মোমেন সুমনের নেতৃত্বে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে জানাযা থেকে আসার পথে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিপন মাহমুদের উপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে।
তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কয়েকটি কোপ দেয় এবং গাছ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্হানে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে।তাকে বাঁচাতে গিয়ে রিপনের সহকর্মী উপজেলা ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি ইলিয়াছকে চড়-থাপ্পর দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
এদিকে আহত রিপনের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।পরে তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর তার অবস্হা আশংকাজনক হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে রিপনের বন্ধুরা তাকে দেখতে গেলে তাদেরকেও সন্ত্রাসীরা সেখানে হুমকি দেয় বলে ইলিয়াছ জানান।আহত রিপনের মাথায় ১০টি সেলাই করা হয়। তাছাড়া হামলার ঘটনা শুনে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ হামলাকারী সুমনকে গ্রেফতারের আশ্বস্ত করলে মহাসড়ক থেকে তারা সরেপড়ে।
উল্লেখ্য মুরাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেহান উদ্দিনের পিতার জানাজা থেকে ফেরার সময় উক্ত স্হানে ঘটনাটি ঘটে।এদিকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেহান উদ্দিন রেহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দোয়াজী পাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমনের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলাসহ বিভিন্ন মামলা থানায় আছে।
এব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন,তারা ছাত্রলীগ ছাত্রলীগে মারামারি।তবে আমরা তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।