সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চন্দনাইশে শ্রীশ্রী লোকনাথ-রামঠাকুর সেবাশ্রমে বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে তিন সাংবাদিক সংগঠন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাংসের দামের তুলনায় বাংলাদেশে এখনো মানুষের দাম বেশি! জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কক্সবাজারে সংঘর্ষে জামায়াতের ওয়ার্ড আমিরসহ নিহত ৩ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সীতাকুণ্ড শাখার ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার (INTI) ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্কলারশিপ পেয়েছেন মোঃ জিয়া উদ্দিন নয়ন। লাউডোব ইউনিয়নে কালিকাবাটী গ্রামের ঘটনা কে কেন্দ্র করে সাবেক সেনা সদস্যের সাংবাদিক সন্মেলন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ২০১৫ সালের ছবি উপহার দিলেন ড. ইউনূস আওয়ামী দোসরদের রক্ষা করতে এখনো স্বৈরাচারীদের হয়ে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন! ছাতকে ফিসারীতে বিষ দিয়ে মাছ নিধন
বিজ্ঞপ্তিঃ

সারাদেশে  প্রত্যেক  বিভাগ,জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগঃ ই-মেইল-Newsdeshy@gmail.com/Mmdidar7@gmail.com মোবাইলঃ 01714430261/01720834962 WhatsApp & Imo:01878518066/00966509665820 #বিশ্বব্যাপী আপনার প্রতিষ্টান ও পন্যের প্রচার প্রসারে বিজ্ঞাপন দিন

চট্টগ্রামে পাহাড়ে বনভূমি গিলে খাচ্ছে বৈধ-অবৈধ ইটভাটা গুলো 

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৮৫ ভিউ

মোঃ শাহরিয়ার সুমনঃ

৩২০ (তিনশত বিশ)  টি ইট ভাটায় গিলে খাচ্ছে প্রায় ১০০০ (একহাজার) একর পাহাড়ের বনভুমি। চট্টগ্রাম জেলা  উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে উঠছে ইটভাটা গুলো,ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। এ ধরনের ইটভাটা গুলো বন্ধ করার জন্য দাবি জানান পরিবেশবিদরা।

রাজনৈতিক ছত্রছায়া, অল্প খরচে অধিক মুনাফা এবং কাঁচামালের সহজলভ্যতায় চট্টগ্রামে যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইটভাটা। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে পড়ছে প্রভাব।

প্রশাসনের নামমাত্র অভিযান ইটভাটার সাময়িক উৎপাদন থামাতে পারলেও মিলছে না দীর্ঘমেয়াদী সুফল। পরিবেশ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় মোট ইটভাটার সংখ্যা ৩২০টি।

এর মধ্যে ১৩৮টি ইটভাটার বৈধ কাগজপত্র থাকলেও বাকি ১৮২টিরই নেই অনুমোদন। ১৪ উপজেলার মধ্যে একটি ইটভাটা রয়েছে পটিয়া উপজেলায় এবং সবচেয়ে বেশি ৬৮টি ইটভাটা সাতকানিয়া উপজেলায়।

এছাড়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৫০টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ৩৩টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ৩৩টি, রাউজান উপজেলায় ৩২টি, হাটহাজারী উপজেলায় ৩১টি, চন্দনাইশে ২৮টি, মিরসরাইয়ে ১৩টি, কর্ণফুলী এলাকায় ১০টি, সন্দ্বীপে ৬টি, বাঁশখালীতে ৫টি, সীতাকুণ্ডে ৪টি, বোয়ালখালীতে ৪টি, আনোয়ারায় ২টি ইটভাটা রয়েছে।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হতে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

এছাড়া ৬ ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোনও জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের ৩২০ ইটভাটার মধ্যে ২৭৫টি পাহাড়বেষ্টিত উপজেলা সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান এবং চন্দনাইশে অবস্থিত। এই সাত উপজেলায় গড়ে ওঠা ৮০ শতাংশ ইটভাটার প্রধান কাঁচামাল মাটির যোগান আসছে পাহাড়ি মাটি বা টিলা থেকে। এছাড়া জ্বালানি হিসেবে এখনও বিভিন্ন ইটভাটায় ব্যবহার হচ্ছে পাহাড় থেকে কেটে আনা কাঠ।

পাহাড়ি অঞ্চলে ইটভাটা স্থাপনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে জানান গবেষকরা। এছাড়া এসব এলাকায় ইটভাটা থাকায় বায়ু দূষণের পাশাপাশি পাহাড় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি তাদের।

সরকারের নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই চলতি মৌসুমে ভাটার জন্য দিনরাত নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ এবং জ্বালানি হিসেবে সংগ্রহ করা হচ্ছে মূল্যবান বনজ সম্পদ। এসব ইটভাটা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বছরের পর বছর চালানো হচ্ছে।

প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের চোখের সামনে এসব অবৈধ ইট ভাটা চালানো হলেও এ ব্যাপারে তাদের নেই কার্যকরী কোন পদক্ষেপ ।পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়মিত আর্থিক সুবিধা দিয়েই চালানো হচ্ছে এসব অবৈধ ইট ভাটা।

অন্যথায় কোন ভাবেই চালানো সম্ভব না। ভাটায় অনুমতি বিহীন রয়েছে ইটভাটা নিয়ন্ত্রনে কঠিন আইন থাকা সত্বেও কিছুই বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।পরিক্ষীত নতুন প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব ইট ভাটা করার কথা থাকলেও তা মানছে না অবৈধ ইটভাটার মালিকরা। তাছাড়া লোকালয়ের পাশেই ফসলের মাঠে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটায় যেমন নষ্ট করা হচ্ছে কৃষি জমি, অন্যদিকে ৭-৯ বছর ধরে বনভূমি উজার করে কাঠ পোড়ানোর কারণে মারাত্মক ভাবে দূষণ করা হচ্ছে পরিবেশ।

তবে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ভাটা চালানো হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বেশির ভাগ জায়গায় কৃষি জমি নষ্ট করে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। যার কারনে ইটভাটা সংলগ্ন পাহাড়ি গ্রাম এই কারণে কৃষকরা পড়েছেন বড় বিপাকে। পরিবেশের বিরূপ প্রভাব হতে নিজেদের রক্ষা করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করেছে স্থানীয় অধিবাসীরা।

বনজ সম্পদ ব্যবহারের সহজলভ্য ও দুর্বল প্রশাসনিক তদারকির কারণে সাতকানিয়া উপজেলার ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর কারণে স্থানীয় অধিবাসীদের সৃজনকৃত ফলজ বাগানের ফলন কমে যাচ্ছে। অন্য দিকে বিলুপ্তি হচ্ছে বন্যপ্রাণী। কৃষিজমি, পাহাড়, টিলা হতে মাটি কেটে ইটের কাঁচামাল হিসেবে হয়েছে- লাইসেন্স ছাড়া ইট উৎপাদন ইটভাটার জন্য জ্বালানি কাঠ ও সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সাতকানিয়াই যারা ইটের ভাটা করছেন তারা খুবই প্রভাবশালী এবং তাদের প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে অনেক লোক আছে এমন কি মোজা ইট আর টাকা বিনিময়ে তাদেরকে সাহায্য করে যাচ্ছে।

যে যাই বলুক তাদের এ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হবে না। যার কারনে সাধারণ মানুষও ভয়ে কিছু বলছে না। তবে লোকালয়ে ভাটার এসব বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় রীতিমত স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024

Theme Download From ThemesBazar.Com
Translate »