কাইয়ুম চৌধুরী-
মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের নামে সম্পত্তি লিখে দিয়ে, হতাশাগ্রস্ত মো: রফিক ড্রাইভার, ভরণপোষণের দায়িত্ব চাই নয়তো তার সম্পত্তির চাই।
জায়গা সম্পত্তি সব মেয়ের নামের করে দিয়েছে অনেক আগেই, পরবর্তীতে এখন মেয়ে সবকিছু বিক্রি করে ভবন কিনছেন জয়দেবপুর সদরে।
বাবা তার মেয়ের জামাই ও মেয়ের কাছে ভরণপোষণের দায়িত্ব চাই নয়তো তার সম্পত্তি চাই। সোশাল মিডিয়া ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তথ্য দিয়ে আত্মাহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
বৃদ্ধ বাবার আবেদন,
সকলের নিকট জানানো যাচ্ছে যে, আমি একজন শ্রমজীবি মানুষ। মানুষ পেলাম না, আমার মনের ভাব বুঝানোর ভাষা বা কথা বলার মতো পরিস্থিতি আমার নেই। কিন্তু মনের কষ্ট লোকাইতে পারলেও নিজেকে লোকাতে আর পারছি না।
অনেক চেষ্টা সাধনার পর আমি আমার পরিশ্রম দিয়ে সবশেষ উপার্জন দিয়ে একটু সম্পত্তি ক্ষয় করেছিলাম। কিন্তু সেই সম্পত্তি আমার মেয়ের নামেই ক্রয় করলাম। কিন্তু সেই সম্পত্তির কিছু দিন থাকতে পারলেও হঠাৎ করেই আমার সম্পত্তি আমাকে না বলে, মেয়েকে সাতপাঁচ বলে মেয়ের জামাই অন্যলোকের পরামর্শ বিক্রির করে।
এখন আমার কোনো স্থান বা কোনো জায়গা নেই আমার মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের কাছে। কোথায় থাকি কোথায় খাই তার কোনো খোঁজ খবর নাই। এমন পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো ভিত্তি খুঁজে পাই না।
হঠাৎ করেই তো একদিন না একদিন মরে যাবো। দেশের আইন অনুযায়ী আমাদের মতো দুঃখী মানুষের দেখার মতো কি কেউ নেই? এখন আমার বৃদ্ধ বয়সে ভালো মতোও হাঁটতে পারি না।
আমার আর্তনাদ এই আমাদের বাংলাদেশের সমাজের যদি কেউ পারেন আমাকে সহযোগিতা করেন। সমাজের কিছু অসাধু লোক হয়তো টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
তবে আশা করি সকলেই বাবার ভালোবাসা কখনোই ভুলে না। আর বাবা কখনোই পর হয় না। আপনারা যেমনেই আপনাদের বাবা মা কে ভালোবাসেন। ঠিক বাবা নামের হতভাগা ব্যক্তি আমি, আমাকে প্লিজ একটু সকলেই সহযোগিতা করেন। আমার মেয়ে হয়তো আমার ভরণ পোষণ দায়িত্ব নিতে চাইবে না।
আমি আমার বাকি জীবনটা আমার শ্রম দিয়ে জায়গা সম্পত্তির অধিকার এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব চাই, নয়তো আমার সম্পত্তির চাই।
আমি একজন হতভাগা পিতা হয়ে আমার আত্মনাত প্রকাশ করলাম। আমি সকলের সহযোগিতার চাই।
নিবেদক
মো: রফিক ড্রাইভার
গ্রাম : মারিয়ালী মধ্যে পাড়া
সিটি করপোরেশন : গাজীপুর
থানা : গাজীপুর ।