সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম দক্ষিন সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট সাগর উপকূলস্হ সরকারী কয়েকশত খাস ভূমি ও উপকূলীয় বনায়নে গড়ে উঠেছিল মাদকের আখড়া,চলতো নানান অপরাধ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে অবৈধ দখল ও মাদকের আখড়া উচ্ছেদ করে গড়ে তোলা হয়েছে হাজারো জাতের ফুলের পার্ক, মাস ব্যাপী ফুল উৎসব উদ্ভোধন করেছিলেন প্রধান অতিথি মন্ত্রী পরিষদের সচিব মাহবুব হোসেন।
গত (২৫ জানুযারী ২০২৪ ইং) দুপুর সোয়া ১২ টায় ফিতা কেটে এই উৎসব উদ্ভোধন করেন প্রধান অতিথি সহ উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মেলা উদ্ভোদন কালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম,নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন,সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন পিপিএম, এবং সীতাকুণ্ডের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দগণ।
দুঃখের বিষয় উদ্বোধনের পর থেকেই এখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীগনের বিরুদ্ধে পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পর্যটক থেকে জানা যায় গতকাল (০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং) সোমবার সন্ধায় উক্ত ডিসি পার্কে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাথে সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন পর্যটক আহত হয়।
পর্যটকদের সাথে সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের মারামারির কারণ পর্যটক ও স্থানীয়দের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, এখানে পার্কিং এর জন্য ৩০-৫০-১০০ টাকা করে নিচ্ছে, এবং নগর-দোলায় চড়ার জন্য ৫০ টাকা করে নিচ্ছে।
কিন্তু টাকা নিয়েও পর্যটকদের নগর-দোলায় চড়ার সুযোগ দিচ্ছে না, তাই পর্যটকদের সাথে হাতাহাতি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের থেকে জানা যায়, পর্যটকদের অনেক ভিড় থাকার কারণে তারা সবাইকে সমান সুযোগ দিতে অপারগতায় একটু ঝামেলা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
পর্যটকদের দাবি এখানে ভালো মানের নিরাপত্তা দিতে হবে, এখানে বর্তমানে যেভাবে পর্যটকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করার জন্য আসবেনা, ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা এর বিকল্প হিসেবে অন্য কোন জায়গায় ভ্রমন করবে। তারা প্রশাসনের নিকটেও এখানকার নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করার আহবান জানান।