কাইয়ুম চৌধুরীঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবশন হয়ে গেল অনেকটা একক দলের সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম জাতীয় সংসদে ৬২জন স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে (০৩) জন ছাড়া বাকি ৫৯জনই আওয়ামী লীগের নেতা। তাঁরা আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আশার কথা, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র এমপিদের উদ্দেশে বলেছেন, "স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্যরা স্বতন্ত্রই থাকবেন। তাঁরা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবেন। দল তাতে কোনো বাধা দেবে না।" জনগণের পক্ষে কথা বলতে এমপিরা সংসদে গেলেও এ সংসদের ইতিহাসে হাতেগোণা এমপিই কথা বলেছেন; বাকিরা থেকেছেন নীরব। কথা বলার ইচ্ছে ,সাহস ও যোগ্যতা কোনোটিই নেই অনেকের। প্রয়াত সুরঞ্জিৎ সেন গুপ্ত ও চট্টগ্রামের মাইনুদ্দিন খান বাদলের মতো সংসদ-সদস্য চায় এদেশের জনগণ। সরকারি দলের এমপিরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না, সমালোচনা করতে পারেন না। এক্ষেত্রে বড় বাধা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ। কিন্তু স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সরকারি অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে কোনো বাধা নেই। বর্তমান সংসদে ৬২জন স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্য আছেন। জনগণের প্রত্যাশা, তাঁরা এবার স্থানীয় ও জাতীয় সমস্যা নিয়ে সরব হবেন, রাখবেন সাহসী ভূমিকা। জনসমস্যা নিয়ে তাঁরা সর্বদা সোচ্চার থাকবেন। ৬২জনের মধ্যে ২০/২৫জন এমপিও যদি তাঁদের ভূমিকা আন্তরিকভাবে পালন করেন, তাহলে সংসদ প্রাণবন্ত ও কার্যকর হয়ে ওঠবে, উপকৃত হবে আমজনতা; হারানো গৌরব ফিরে পাবে মহান জাতীয় সংসদ। তাই জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে- কেমন ভূমিকা পালন করেন স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্যদের সংসদের লাইব্রেরিমুখি হওয়ার আহবান জানিয়ে সংসদে কথা বলার নিয়ম-নীতি ও কার্যপ্রণালীবিধি সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা নিতে নির্দেশনা দেন। আশা করি, সংসদ-সদস্যরা সংসদ-বিষয়ক জ্ঞান অর্জনের প্রতি মনোযোগী হয়ে প্রকৃত সংসদ-সদস্য হয়ে ওঠবেন। বাস্তবতা হলো, এদেশে সরকারি সকল কার্যক্রম জনগণের নামে হলেও জনস্বার্থের চেয়ে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থই গুরুত্ব পায় বেশি। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা এখন সময়ের দাবী।বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, তাই বিরুধী দল দরকার,তাই নির্বাচনকে অবাধ নিরপেক্ষ ঘোষনা করা হয়,নৌকার বিরুদ্ধে নৌকা সমর্থকরাই স্বতন্ত্র্র প্রার্থী হয়েছেন,জাপা তেমন আসন পাননি আর পেয়েও কি লাভ,তারাতো তেলবাজি,সরকারের চামচাবাজিতে ব্যস্ত ছিলেন থাকবেন বলেও মনে হয়,তাই জনগন তাদের থেকেও মুখ ফিরিয়ে নেন,স্বতন্ত্র্ররা কেমন ভূমিকা রাখবেন দেখার বিষয়,কারন তাদের কে বলে দেয়া হয়েছে গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবে সরকারের বিরোধীতা নয়,সব মিলে দেশ কেমন চলবে তা বোঝাই যাচ্ছে।