বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গত প্রায় ১৩ বৎসর পুর্বে বিবাহ হয় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডিমলা সদর ইউনিয়ের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর তিতপাড়া গ্রামের সুলতান আলী এর কন্যা সুলতানা বেগমের সহিত একই উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দরখাতা গ্রামের ফজির উদ্দিনের
পুত্র শফিকুল ইসলামের। বিবাহের পর থেকে বিভিন্নভাবে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন দ্বারা নির্যাতিত হয় সুলতানা বেগম। দীর্ঘদিন এভাবে স্বামীর সংসার করে আসে সুলতানা বেগম। সুলতানা বেগমের সংসারে আসে ২পুত্র ও ১ কন্যা। স্হানীয় নেতৃবৃন্দ অনেকবার আপোষ মীমাংসা করে দিলেও স্বামী ও স্বামীর পরিবার তা মেনে নিতে না পেরে সুলতানা বেগম ও তার সন্তানদের উপর নির্যাতন অব্যাহত রাখায় সুলতানা বেগম তার ৩ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি পিতার বাড়ীতে চলে আসে।
তিলেতিলে নির্যাতন সহ্য করতে না পারার বেদনা সুলতানা বেগমকে কুডেকুড়ে খায়। তাই সুলতানা বেগম স্বামী শফিকুল ইসলামকে গত ২মাস পুর্বে তালাক দেয়। এতে শফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরই একপর্যায়ে গত১৩ ফেব্রুয়ারী শফিকুল ইসলাম দুপুরে ডেকে নেয় তাঁর বড় পুত্র মুন্নাকে (১১)। বেশকিছু সময় শফিকুল ইসলাম তার পুত্র মুন্নাকে ডিমলা বাবুরহাটে ঘুরে নিয়ে বেড়ায় এবং সন্ধ্যার সময় পিতা শফিকুল ইসলাম মুন্নাকে কীটনাশক বিষ কিনে হাতে দিয়ে ৩ ভাই বোনকে খেতে বলে। এতে মুন্না রাজি না হলে শফিকুল ইসলাম বেধড়ক মুন্নাকে পেটাতে থাকে এবং সুলতানা বেগমের পিতার বাড়ির পাশেই রেখে আসে। পরে মুন্না কান্নারত অবস্থায় তার মায়ের কাছে গিয়ে ঘটনার বর্ননা দেয়। সুলতানা বেগম সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাদী হয়ে ডিমলা থানায় অভিযোগ দাখিল করেছে বলে জানায়।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply