বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর শিবপুরে ভুল চিকিৎসায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবীতে ১৮ ফেব্রুয়ারী রবিবার বিকেলে শিবপুর কলেজগেইট মানববন্ধন করেছে।পরে কলেজগেইট সংলগ্ন শিবপুর পপুলার প্রাঃ হাসপাতালে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় হাসপাতাল বন্ধ, সংশ্লিষ্ট ডাঃ মোঃ মাসুদ মান্নান জেসনে ও সহকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিচার দাবীতে বক্তব্য রাখেন নিহত মার্জিনা পারভিন রিনির পিতা শিবপুর পৌরসভা মুক্তিযোদ্বা কমান্ডার মোঃ নুরুজ্জামান খান, নিহতের স্বামী বাবুল মিয়া, নিহতের বোন পনি বেগম, মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন ভুইয়া, সাবেক সেনা সদস্য আনোয়ার হোসেন, শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন ভুইয়া প্রমুখ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাবুল মিয়া বাদী হয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন মিয়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন মিয়া ও ডাঃ মোঃ মাসুদ মান্নান জেসনকে আসামী করে ১৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার রাতে শিবপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।উল্লেখ্য ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের বাজনাব গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী মার্জিনা পারভিন রিনির (৩৭) মাথাব্যাথার কারণে শিবপুর পপুলার প্রাইভেট হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর রিনির প্রেশার মাপা হয়। সে সময় তার প্রেসার কম ছিল। তখন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রিনিকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন।এরপরই রিনির শরীর আরো খারাপ হয়। দ্রুত রিনিকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রিনিকে মৃত ঘোষণা করেন। পপুলার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রিনির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনরা হাসপাতালের ভিতর ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।১৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকেলে শিবপুর পপুলার হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। এ সময় হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং সতর্ক করা হয়।শিবপুর পপুলার হাসপাতালের ম্যানেজার আশরাফ হোসেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা স্বীকার করে আর কিছু বলতে চাননি তিনি। হাসপাতালের মালিক সালাহউদ্দিন ও রতনকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও নরসিংদী জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ফারহানা আহম্মেদ জানান শিবপুর পপুলার হাসপাতালের ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ সজীব জানান শিবপুর পপুলার হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে।