সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে স্বামী ও শাশুড়ীর নির্যাতন সইতে না পেরে জেসমিন আক্তার নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। গত দুবছর আগে জেসমিন আক্তার (শাখি) পিতা-আব্দুল করিম (সওদাগর) মাতা-জাহানারা বেগম। ৫ নং বাড়বকুন্ড ৭ নং ওয়ার্ড। বাড়ি-কাশেম ডাঃ বাড়ী, নতুন পাড়া এর সাথে বাড়বকুন্ড ১ নং হাতি লোটা ওয়ার্ডের মোঃ সামসুউদ্দিন পিতা- নেজামুল হক (বাদশা) মাতা-রাবিয়া বেগম। বাড়ী-অলিআহম্মদ সর্দার বাড়ী। ৫নং বাড়বকুন্ড,হাতিলোটা, এর সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী ও শাশুড়ী নানান ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। বেশ কয়েকবার তাদের চাহিদা পূরন ও করেছে।তারপরও তাদের নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এব্যাপারে কয়েকবার দুপক্ষের বৈঠক ও হয়েছে,সংসার টিকিয়ে রাখতে সমাধান করে দিয়ে আসে মুরুব্বিরা, ইদানিং জেসমিনের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়, নিরুপায় হয়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে গতকাল সোমবার বিকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে, সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেন এবং চমেক হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করেন। আজ মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষে বিকালে জেসমিনের বাবার বাড়ীতে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাঁর একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
বাড়বকুন্ড জেসমিনের এলাকার মেম্বার মোঃ সোহেল জানায়,জেসমিন স্বামী ও শাশুড়ির মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তার একটা মেয়েও হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠিয়েছে। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দীন পিপিএম জানায়, বাড়বকুন্ডের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি,লাশ ময়না তদন্ত করা হয়েছে,নির্যাতনের কোন আলামত পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।