বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মেহেদি হাসানকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে অপরপক্ষের সমর্থকরা। এ হামলায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।
আজ ৪ মার্চ সোমবার দুপুরের দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানা মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ হামলা চালায় কে বা কারা। তবে অনেকে ধারণা করছেন কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর সমর্থকরা এ হামলা চালাতে পারে।
ঘটনায় আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরাফাত হোসেন। সে হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন। অন্যজন হলেন মিজান রহিম।
সে নাক, কান ও গলা বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মেহেদি হাসান জানান, গতকাল আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করে চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদ টিনু। এরই প্রতিবাদে স্হানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে হঠাৎ ৮০ থেকে ১০০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এ হামলায় আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘কাউন্সিলরসহ ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি। ’