সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর (চৌধুরী পাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার লাথিতে প্রাণ গেল চাচার।
নিহত ইস্কান্দার আলী (৭০) ওই গ্রামের মৃত হারিছ উল্লার ছেলে।
এদিকে, নিহতের ঘটনার মূল হোতা রুসমত আলীর ছেলে এখলাছ মিয়া (৪০) কে সুনামগঞ্জ থেকে আটক করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) রঞ্জয় চন্দ্র মল্লিক, দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামছউদ্দিন খান, এসআই সম্রাজ মিয়া, আতিয়ার রহমান, লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মাষ্টার প্রমুখ।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায় - বৃহস্পতিবার (১৪মার্চ ২০২৪ ) সকালে পুকুর পাড়ের গাছ কেটে সাবাড় করে ভেকু দিয়ে বিরোধপূর্ণ পুকুরের পাড়সহ সীমানা কাটতে শুরু করেন রুসমত আলীর পুত্র এখলাছ মিয়া, তিলুরাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুস ছোবহানের ছেলে আক্কাস আলী ও তার লোকজন। এতে বাধা দেন চাচা ইস্কান্দার আলী।
পরে এ ঘটনায় আমজদ আলী, আব্দুল গফুর, আব্দুল মতিন গংরা জড়িত হলে দু'পক্ষে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ সময় এখলাছ মিয়া লাথি মেরে ফেলে দেন চাচা ইস্কান্দর আলীকে। এসময় এলোপাতাড়ি মারধর করেন আক্কাস, গফুর গংরাও। এতে ঘটনাস্থলেই ইস্কান্দর আলী নিহত হন।
নিহতের পুত্রবধূ ইয়াছমিন বলেন, ভেকু দিয়ে মাটি কাটা ও গাছ কাটতে বাধা দেওয়ার কারণে তাঁর শশুরকে হত্যা করেছেন এখলাছ মিয়া, আক্কাস মিয়া, আব্দুল গফুর গংরা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এখলাছ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। নিহত ইস্কান্দর আলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।