বিশেষ সংবাদদাতা-
হুমায়ুন কবির (So) বান্দরবান বনবিভাগের শুয়ালক ফরেস্ট চেক স্টেশনের অফিসার। তিনি প্রায় (০২) বছর যাবত বান্দরবান বনবিভাগের শুয়ালক ফরেস্ট চেক স্টেশনে নিয়োজিত আছেন। উক্ত শুয়ালক ফরেস্ট চেক স্টেশনে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবৈধ ভাবে বনজদ্রব্য সামগ্রী পাচারে ও অত্র এলাকায় গঠিত সকল ইটভাটা গুলোতে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রহিয়াছেন।
রাত যখন গভীর হয় তখনই বিভিন্ন প্রজাতীর গাছের রদ্দা ও গোলকাঠ সহ ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী তিনি পাচার করে থাকেন। দিনকে-দিন শুয়ালক ফরেস্ট স্টেশনে এই কর্মকর্তার অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাত্রা বেড়েই চলছে। তিনি প্রতি গাড়ি থেকে (২০) থেকে (২৫) হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়ে থাকে।
তিনি অত্র এলাকার অন্তত (১৫) থেকে (১৮) টি ইটভাটা থেকে প্রতি মাসে ৩,০০,০০০/- (তিনলাখ) টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইটভাটা বন্ধ ও মামলার হুমকি দেন। ফলে এলাকার মানুষ ও ইটভাটার মালিকেরা তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হইয়া পড়িয়াছে। প্রতিবেদক এব্যাপারে জানতে জনাব হুমায়ুন কবির (So) কে ওনার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্রে থেকে জানা যায় শুয়ালক স্টেশনে জনাব হুমায়ুন কবির (So) এর (০১) একবছরের পুষ্টিং হয়। সেই হিসেবে গত নভেম্বরে তাঁর কর্মকাল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অদ্যবধি তিনি উক্ত শুয়ালক ফরেস্ট চেক স্টেশনে বহাল তবিয়তে নিয়োজিত থেকে তাঁর এহেন অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।! এবং তিনি নাকি (ডিএফও) কে প্রতি মাসে ঘুষ দিয়ে শুয়ালক ফরেস্ট চেক স্টেশনে কর্মরত রহিয়াছেন এবং (ডিএফও) এর সাথে গভীর সম্পর্কের কারণে যত টাকার বিনিময়ে হোক আগামী পোস্টিং-ও নাকি রুমা রেঞ্জের দায়িত্ব নিবেন এবং নিতে মরিয়া হয়ে আছেন বিশেষ সুত্র থেকে খবর পাওয়া যায়।
এমতাবস্থায় তাঁহার এহেন কর্মকান্ডে শুয়ালক ফরেস্ট স্টেশনে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগন অতিষ্ঠ বলেও খবর জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী কর্মকর্তা থেকে আরো জানা যায়, ইতিমধ্যে তিনি নাকি চাকরির শুরু থেকে দেশের ভালো ভালো বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ দিয়ে পোস্টিং নিয়ে কোটিকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশাল, সেখানে তিনি নামে-বেনামে দামীদামী জায়গা ত্রুয় করে বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ঢাকার নারায়ণগঞ্জে-ও রয়েছে তিনশ ফিট রাস্তার পাশে রূপগঞ্জ নার্সারি এলাকায় প্রায় (২৬)শতাংশ জায়গায় কোটি টাকা দিয়ে বিশাল বাড়ি। সেখানে তিনি স্হায়ীভাবে বসবাস করিতেছেন।
তাঁর চাকরি জীবনে সবসময় কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে এক স্টেশন থেকে দ্রুত অন্য স্টেশনে বদলি হয়ে সকল দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকান্ডের দায় আসার পূর্বেই তিনি সরেপড়েন ও নতুন জায়গায় নতুন করে দুর্নীতি ছক সাজান।
এমতাবস্থায় উক্ত শুয়ালক ফরেস্ট চেক স্টেশন এর অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী ও এলাকার মানুষের দাবি অসাধু,লোভী এই কর্মকর্তা জনাব হুমায়ুন কবিরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির সম্মুখিন করা ও অতি দ্রুত শুয়ালক ফরেস্ট চেক স্টেশন হইতে বদলি করে অত্র এলাকার জনগণকে শান্তিতে থাকার ও অবৈধ বনজদ্রব্য সামগ্রী পাচার রোধ সহ বৈধ পন্থায় সাধারণ মানুষকে ব্যাবসা বানিজ্য করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বন সংরক্ষক চট্টগ্রাম অঞ্চল চট্টগ্রাম এর প্রতি আবেদন জানান।
অন্যথায় এই অসাধু দুর্নীতিবাজ চোর চাঁদাবাজ সরকারি মালামাল লুটপাটকারি হুমায়ুন কবির (So) আরো বেশি ভয়ানকভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে দেশের ও দেশের মানুষের আরো ক্ষতি করার সুযোগ পাবে। তাই অতিসত্তর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকার মানুষের দাবী।
#চলবে,,,