সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চন্দনাইশে শ্রীশ্রী লোকনাথ-রামঠাকুর সেবাশ্রমে বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে তিন সাংবাদিক সংগঠন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাংসের দামের তুলনায় বাংলাদেশে এখনো মানুষের দাম বেশি! জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কক্সবাজারে সংঘর্ষে জামায়াতের ওয়ার্ড আমিরসহ নিহত ৩ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সীতাকুণ্ড শাখার ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার (INTI) ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্কলারশিপ পেয়েছেন মোঃ জিয়া উদ্দিন নয়ন। লাউডোব ইউনিয়নে কালিকাবাটী গ্রামের ঘটনা কে কেন্দ্র করে সাবেক সেনা সদস্যের সাংবাদিক সন্মেলন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ২০১৫ সালের ছবি উপহার দিলেন ড. ইউনূস আওয়ামী দোসরদের রক্ষা করতে এখনো স্বৈরাচারীদের হয়ে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন! ছাতকে ফিসারীতে বিষ দিয়ে মাছ নিধন
বিজ্ঞপ্তিঃ

সারাদেশে  প্রত্যেক  বিভাগ,জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগঃ ই-মেইল-Newsdeshy@gmail.com/Mmdidar7@gmail.com মোবাইলঃ 01714430261/01720834962 WhatsApp & Imo:01878518066/00966509665820 #বিশ্বব্যাপী আপনার প্রতিষ্টান ও পন্যের প্রচার প্রসারে বিজ্ঞাপন দিন

আজ বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সেই মহাপ্রলয়ংকারী   ঘূর্ণিঝড়ের দিন (২৯ এপ্রিল ১৯৯১) সাল। 

  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৯৮ ভিউ

মো.দিদারুল আলম (দিদার)-

আজ বাংলাদেশে ভয়ে যাওয়া সেই ভয়ালমহাপ্লাবন (২৯ এপ্রিল ১৯৯১ ইংরেজি) সাল। এদিনে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল দেশের উপকূলীয় জনপদ। সেদিন আড়াইশ’ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত এবং ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। ওই ঘটনায় দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়। ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়।

সেদিনের ভয়াল এই ঘটনা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় চট্টগ্রামের উপকূলবাসীকে। দুঃসহ সেই স্মৃতি আজও কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে।

ওই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিল ফসলের ক্ষেত, লাখ-লাখ গবাদি পশু। সবমিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল দেড় বিলিয়ন ডলার। ওইসময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভোলা, হাতিয়া, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় সীতাকুণ্ড। যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের ২৮ বছরেও সেসব উপকূলীয় এলাকা এখনো অরক্ষিত।

ওই ঘটনায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হালিশহর, আগ্রাবাদ, কাটঘর, বন্দর, পতেঙ্গাসহ নগরীর উল্লেখযোগ্য এলাকা। বন্দর থেকে ছিটকে যায় নোঙর করা বড় বড় জাহাজ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নৌবাহিনীর জাহাজ। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় নৌবাহিনীর অনেক অবকাঠামো। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ। শিশু-সন্তান ও পরিবার নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় জলোচ্ছ্বাসে আটকা পড়েন নৌ ও বিমান বাহিনীর বহু সদস্য। ভেসে যায় অনেকের ছোট্ট শিশু।

সেদিন রাত ১০টার পর ১০ থেকে ২৫ ফুট উচ্চতায় সাগরের পানি মুহূর্তেই ধেয়ে আসে লোকালয়। জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবলীলায় ওই রাতে অনেক মা হারায় সন্তানকে, স্বামী হারায় স্ত্রীকে, ভাই হারায় বোনকে বোন হারায় ভাইকে,স্ত্রী হারায় স্বামীকে সন্তান-সন্ততি হারাই মাতা পিতাকে । কোথাও কোথাও গোটা পরিবারই হারিয়ে যায় পানির স্রোতে। ২৯ এপ্রিলের সেই ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতি বয়ে উপকূলীয় মানুষের কাছে দিনটি ফিরে আসে বার বার। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন।

ওই রাতের ভয়াবহতা যেনো দীর্ঘস্থায়ী এক ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে মানুষের মনে। দুঃখের বিষয় (২৯ এপ্রিল ১৯৯১) সালে এমন প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের আজ প্রায় ৩০ বছর পার হলেও আমরা এখনো উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই কোনো বেড়িবাঁধ দিতে পারি নাই। এখনো সেই একি শক্তিমত্তার ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে সেই একই ক্ষতি অথবা তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েই গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024

Theme Download From ThemesBazar.Com
Translate »