ছাতক,প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকে ঝাওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুরের মাছ মেরে টাকা লুটপাটের ঘটনায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে প্রধান করে ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা নিবাহী কর্মকতা গোলাম মোস্তফা মুন্না।
গত ২ মে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের ঝাওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুর নুর সহ ২৫টি পরিবারের সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার ছাতকের বরাবরে দায়ের করেন। এ ঘটনায় নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।
জানা যায়, ঝাওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের সমবায় সমিতির মাধ্যমে পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য সংরক্ষণ ও আহরণ করে আসছে প্রকল্প অধিনস্থ বাসিন্দারা।আব্দুল হান্নানের ছেলে শাহজাহান, মৃত আসক আলীর ছেলে সেলিম মিয়া, মনু মিয়া ও ছুরাব আলীরা সমবায় সমিতির দায়িত্বে আসার পর থেকে সমিতির আয় ব্যয় হিসাব মিলছে না।
এছাড়া প্রতি বছর পুকুরটি উপজেলা মৎস্য অফিসে প্রকাশ্যে নিলাম হলেও গেল দুই বছর ধরে নিলাম ছাড়াই চলছে, যার জন্য আয়কৃত অর্থেরও হিসাব মিলছেনা। বিভিন্ন সময় সমিতির অধিনে নিলাম কার্যক্রম হলেও এর অর্থ এখানের গরীব অসহায়দের মান উন্নয়ে কোন ভূমিকাও নেই।
প্রতি বছর নিলামকৃত অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে অভিযুক্তরাই লাভবান হচ্ছেন। তাদের এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মারপিটসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হতো।
এ বছরও নিলাম ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গেল ১০ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত পুকুরের প্রায় লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চুরি করে বিক্রি ও ভাগবাটোয়ারা করে নেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়,গত ১০ এপ্রিল রাতের আঁধারে কালো একটি প্রাডো গাড়ি যোগে তিন বস্তা মাছ চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। একি কায়দায় গত বছরও ঐ পুকুর থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ চুরি করে বিক্রি করা হয়।
প্রতিকার চেয়ে এখানকার বাসিন্দারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করার পর ৭৬ হাজার টাকা সমিতিতে নামে প্রদান করা হলেও আজও সেই টাকার হদিস মিলছেনা। এ ঘটনায় জনপ্রতিধি ও সরকারী কর্মকর্তাদের মাঝে কিছু মাছ ভাগবাটোয়ারা করার কথা স্বীকার করেছেন, ঝাওয়া আশ্রয়ন প্রকল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছোরাব আলী। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা গোলাম মোস্তফা মুন্না এসব অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।