মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী-
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র প্রভাবে মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার শ্যামেরকোনা বিভিন্ন গ্রামে টানা দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে । এতে করে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ সহ নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।
গতকাল সন্ধ্যা ও মধ্য রাতে মৌলভীবাজার সদরে বিদ্যুতের দেখা মিললেও গত তিনদিনেও মেলেনি গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুতের দেখা। গ্রাহকদের অভিযোগ, স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও এর প্রতিকার মিলছে না।
জানা যায়, সোমবার (২৭মে)সন্ধা থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র প্রভাব মৌলভীবাজার জেলায় হালকা ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়।
এছাড়া মঙ্গলবার (২৮মে) ভোররাত থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও দমকা ঝড়ের পর থেকে প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বুধবার (২৯ মে) সদরে বিদ্যুৎ সংযোগ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনো শ্যামেরকোনাসহ বেশিরভাগ গ্রাম অঞ্চলেই নেই বিদ্যুৎ, আর এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গত তিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় খাবার পানি, রান্নার পানি, ব্যবহারের পানি সরবরাহে চরম দূর্ভোগে গ্রাম গুলোর মানুষ। অন্ধকার পোহাতে হচ্ছে সাথে যোগাযোগের মাধ্যম প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মৌলভীবাজার জোনাল অফিসের মোঃ জিয়াউল হক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ লাইনে গাছের ডাল হেলে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে । আমাদের পল্লী বিদ্যুৎের টিম কাজ করে যাচ্ছে ।
তবে মানুষের জান মালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে হেলে পড়া বিদ্যুতের লাইন সম্পূর্ণ মেরামত করে আজ ( ৩০মে) সন্ধ্যার দিকে আশা করছি শ্যামেরকোনা এলাকার গ্রাম গুলোতে বিদ্যুৎ দিয়ে দিতে পারবো।