ছাতক প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেড়া দিয়ে মায়েরকোল নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মনিরজ্ঞাতি নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মৃত. এবারত আলীর ছেলে আতাউর রহমান ও একই গ্রামের মৃত. আছদ্দর আলীর ছেলে ইজন উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এস এ খতিয়ান ১৩৫ দাগে ৪৭.৮২ একর ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তিসহ সরকারের নামে ফাইনাল রেকর্ড হয়। মায়েরকোল নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা বাড়ি হতে বের হয়ে পাকা সড়কে যাতাযাতের জন্য নিজেদের উদ্দ্যোগে একটি রাস্তা নির্মান করেন। উক্ত রাস্তাটি মায়েরকোল নোয়াগাঁও হতে মনিরজ্ঞাতি নোয়াগাঁও হয়ে রাউলি পয়েন্ট সরকারি পাকা সড়কে সংযুক্ত হয়েছে। মায়েরকোল নোয়াগাঁও গ্রামবাসী আবহমান কাল ধরে উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছেন। বিভিন্ন সময় সরকারী ভাবে উক্ত রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে। ২০২০/২১ অর্থ বছরেও ইজিপিপি কর্মসূচির আওতায় উক্ত রাস্তায় আংশিক মাটি ভরাট কাজ করা হয়। বিভিন্ন দলিলের চতু:সীমায়ও উক্ত রাস্তার কথা উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি সময়ে মনিরজ্ঞাতি নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান ও ইজন উদ্দিনহর কতিপয় লোক মায়েরকোল নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাধা নিষেধ প্রদান করেন। এমনকি উক্ত রাস্তায় বেড়া দিয়ে মায়েরকোল নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন ১৩০টি পরিবারসহ স্কুল ও মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। মায়েরকোল নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর অভিযোগ এর আগে গত ৩০ এপ্রিল গ্রামের কিছুলোক রাস্তা দিয়ে আসার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন কতৃক নির্বিচারে তাদের মারপিট করা হয়। মায়েরকোল নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় উভয় পক্ষ আদালতে পাল্টা-পাল্টি মামলাও দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে মনিরজ্ঞাতি নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান তার উপর আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এই বাড়ীর মালিক এদিকে কোন রাস্তা নাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মারামারির ঘটনার পর বেড়া দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষন পর তিনি কথা পাল্টে দিয়ে বলেন, বেড়া এক বছর আগে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মায়েরকোল নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল মতলিব, মাজন আলী, মো. শুকুর আলী, ফিরোজ অলী, মো. রাজ উদ্দিন, মো. লিয়াক আলী আদালতে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উক্ত রাস্তাটি আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। এই রাস্তা ছাড়া সরকারি সড়কে যাওয়ার বিকল্প কোন রাস্তা নেই। বর্তমানে আমারা বড় অসহায় অবস্থায় আছি। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কমনা করেন তারা।
এ বিষয়ে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কোর্ট থেকে একটি মামলা থানায় এসেছে। তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।