ছাতক প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর পলিরগাঁও (এল.পি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম আশিকুর রহমান বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতিসহ ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাধারন শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফারহানসহ ৪ জনের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, লাকেশ্বর পলিরগাঁও (এল.পি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম আশিকুর রহমান বিগত ১ জানুয়ারী ১৯৯৫ইং তারিখ হতে অদ্যবদি অত্র বিদ্যালয়কে দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। বিগত কয়েকদিন যাবত ধরে তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারন শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করার কারনে তিনি স্কুল থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি মাসে ৮-১০ দিন বিদ্যালয়ে আসেন, কিন্তু পুরো মাসের বেতন উপভোগ করেন। বিগত ২০২০ইং সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান, নৈশ্য.প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়াসহ মোট ৫টি পদে নিয়োাগ প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রেখে মোটাঅংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এমনকি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও উক্ত নিয়োাগ সম্পর্কে অবহিত ছিলেননা।
অভিযোগে আরো উল্লখ করা হয়, বিগত ১৬ বছরে স্কুল ফান্ডের প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক এস.এম আশিকুর রহমান। এছাড়ও অতিরিক্ত সেশন ফি, মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি এবং এস.এস.সি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫,০০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। শর্তস্বাপেক্ষে ফেরতযোগ্য হলেও আজ পর্যন্ত কেউ ফেরত পায়নি। তিনি রাতের আঁধারে নিজের মতাদর্শের লোক নিয়ে কমিটি গঠন করে থাকেন। এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলে স্বজনপ্রীতি এবং টাকা পয়সা ঘুষ নিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়। তার এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে সাধারন শিক্ষার্থী তথা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। অনেক সময় সাধারন শিক্ষার্থীরা প্রতিকার চেয়ে কোনো সুরাহা পাননি। কারণ তার দলীয় বাহিনী দিয়ে সাধারন শিক্ষার্থীদের প্রাণ
নাশের হুমকি-ধামকি দিতেন বলে অভিযোগে উল্লখ করা হয়।
এ বিষয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।