এম মখলিছ খান:
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ৩ দফায় আকস্মিক বন্যার কবলে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। সড়কে পানি উঠে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আকস্মিক বন্যায় প্রায় ১০টি গ্রামের ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীর তীরবর্তী খছরুপুর,ধরখা,মিরপুর,দক্ষিণ,
খছরুপুর ,কুরপুর,তাজপুর,পূর্ব তাজপুর ও লামা তাজপুর গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সরেজমিনে উপজেলার শেরপুর-খছরুপুর নতুন বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুশিয়ারা নদীর খছরুপুর সড়কের উপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি ঢুকছে। পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের একমাত্র সড়ক। যার ফলে নতুন বাজারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
অন্যদিকে লামা তাজপুর এলাকায় কুশিয়ারা ডাইকের উপরে ছুই ছুই পানি। স্থানীয়রা বলছেন আর একটু পানি বাড়লে ডাইকের উপর দিয়ে পানি ঢুকে যাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এসাম উদ্দিন ও শাহ ইসমাইল আলী বলেন, গত তিন দিনের বৃষ্টি ও ভারতের পানিতে খছরুপুর ও দক্ষিণ খছরুপুর গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। লামা তাজপুরসহ আরও ৩টি গ্রামের দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ পানিবন্ধি রয়েছেন। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে আরও পানি বাড়তে পারে,এতে নতুন করে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। আমরা প্রবাসীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছা বলেন, কয়েকদিনে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সাদিপুর ইউনিয়নের কিছু কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের পাশে আমরা আছি ইনশাআল্লাহ সব সময় থাকব। আজও সাদিপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে গত ২য় দফায় বন্যার্তদের মাঝে নগদ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করেছে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাশ বলেন, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে অতিবৃষ্টির কারণে লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা পানিবন্দিদের খোঁজ নিচ্ছি।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি হিসাব রক্ষক জাহাঙ্গীর বক্স বলেন, উজানের ঢল ও টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে এই পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।