মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, ক্রাইম রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারে বন্যার্থদের সহযোগিতা করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভের চক্রান্তের শিকার বেশ কিছু সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী।
গত বন্যায় মৌলভীবাজারে অনেক সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী মিলে বন্যার্থদের জন্য কাজ করার উদ্যোগ নেয়।
সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে মিশে যায় ছাত্র আন্দোলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলাকারী শরিফুল ইসলাম সৌরভ।
স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং স্বৈরাচারের কৌশল অবলম্বন করে পরবর্তীতে সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে অজানা পরিকল্পনায় লিপ্ত থেকে বন্যার্থদের পাশে কাজ করতে শুরু করে বন্যার প্রথম দিন রাজনগর উপজেলায়।
ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ স্বেচ্ছাসেবী টিমের নামকরন করে টিম ৯৯৯।
সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীরা কোন আপত্তি না করে স্বেচ্ছায় শ্রম ও সামর্থ্য মতো সহযোগীতা করে বলে সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীরা।
পরবর্তী দিন পূনরায় রাজনগর উপজেলার তারপাশা, ও আশাপাশের বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম করে সেখানে শরিফুল ইসলাম সৌরভ ও তার মা সুমাইয়া আক্তার ত্রাণ বিতরণ আওয়ামিলীগ করছে এসব কথা প্রচার করতে থাকে ও পতন করে কত ক্ষতির মুখে পড়েছো এবার বুঝো। আমরাই এসেছি ত্রাণ নিয়ে এসব কথা শুনে বন্যা কবলিত লোকজন বিরুপ মন্তব্য করেন।
এসব দেখে বেশ কিছু সচেতন সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী পরবর্তী দিন আর কোন কার্যক্রমে যায়নি।
জানা যায়, সৌরভের নেতৃত্বে শহরের কুসুমবাগ ও আশপাশের এলাকা থেকে অর্থ উত্তোলন করে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
এতে সাধারণ কিছু সেচ্ছাসেবী উপস্থিত ছিল কিন্তু সৌরভের চক্রান্তের বিষয় বুঝতে পারেনি তারা।
এই টাকার হিসেব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেয়া হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী জানান।
কিন্তু পরবর্তীতে আবারও সৌরভ শহরের বেরীরপাড় এলাকা থেকে অর্থ উত্তোলন করে তা সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীরা জানেনা এবং উপস্থিত ছিলনা। সেখানে কত টাকা উঠেছিল তাও সৌরভ কাউকে অবগত করেনি।
সাধারণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা জানতে পারে এবং তার সম্পর্কে চাঁদাবাজির অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া জানা যায় শরিফুল ইসলাম সৌরভ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলাকারীদের একজন আসামীও।
পরবর্তী গত শুক্রবার সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে শহরের ইসলামবাগ এলাকায় অবস্থিত আওয়ামিলীগ নেতা এম এ রহিমের বাসা থেকে আটক করা হয়।
সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীরা জানায়, আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পারছি সৌরভ নিজেকে বাঁচাতে আমাদের ফাসানোর চেষ্টা করছে।
সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী নাহিদ, হিমেল, নাসিম, তরিকুল, মাহবুব,সোহাগ, ফাহিম,মাইশা, নাঈম , পাবেন,মিসবা,নিলিমা, মামুন, ফারহানসহ আরো অনেক সেচ্ছাসেবীরা আতংকে রয়েছে।
তারা আরো জানায় আমরা সৌরভের চক্রান্তের শিকার এবং এসব বুঝতে পারিনি তাই আমাদের বিশ্বাস কেউ আমাদের ভুল বুঝবেন না ও এও আমরা বিশ্বাস করি মানবতার জন্য কাজ করতে গিয়েছিলাম অবশ্যই সৌরভসহ যারা আছে তারা আমাদের ফাঁসাতে পারবে না।
এছাড়া তারা আরো জানান প্রয়োজনে আইনশৃখলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন সৌরভের চক্রান্তের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখবেন আমাদের কোন সম্পৃক্ততা আছে কি না।