গতকাল রবিবার (০৯,০২,২০২৫) ইংরেজি দুপুর ১টায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু, সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সিনিয়র সাংবাদিক মীর মোঃ দিদারুল হোসেন টুটুল সহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ক্লাবে প্রবেশ করলে তাদের ওপরে হামলা হয়েছে। জানা যায়, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিবাদী সরকারের গড়া অনির্বাচিত কমিটিকে বাদ দিয়ে ৫ আগস্টের পরে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়। ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের অনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ছিলেন সৌমিত্র এবং সেক্রেটারি ছিলেন লিটন দাশ। তাঁরা উভয়েই পতিত আওয়ামিলীগ সরকারের সমর্থক ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নির্বাচনের মাধ্যমে যে নির্বাচিত কমিটি হয়েছে তাদের মধ্যে সভাপতি হলেন, সৈয়দ ফুরকান আবু, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম। সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম পতিত আওয়ামিলীগ সরকার আমলে মামলা মোকদ্দমার শিকার হয়ে বাড়িঘর ও এলাকা ছাড়া ছিলেন, এবং তিনি বিএনপির সমর্থক বলে জানা যায়। এদিকে নির্বাচিত কমিটির সভাপতি সৈয়দ ফুরকান আবু’র প্রকৃত অর্থে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় এলাকায় উদ্ভাসিত নয়। ৫ আগস্টের পরে প্রেসক্লাব নির্বাচনের প্রথম দিকে এই নির্বাচিত কমিটিকে সকল সাংবাদিক ও নির্বাচনে হেরে যাওয়া সাংবাদিকরা অভিনন্দন জানালেও জানা যায়, পরে প্রেসক্লাব নির্বাচনে হেরে যাওয়া সাংবাদিকগন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে এবং নির্বাচিত কমিটিকে বয়কট করে। নির্বাচনে হেরে যাওয়া সাংবাদিকদের অভিযোগ ভোটে কারচুপি হয়েছে এই ভোট ও নির্বাচন তারা মানেনা। এদিকে যারা নির্বাচিত হয়ে প্রেসক্লাবে ৫ আগস্টের পর থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তারা বলছেন, নির্বাচন সুস্থ ও সুন্দর হয়েছে, সকল সাংবাদিকরা ও পরাজিতরাও মেনে নিয়ে নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনের কয়েকদিন না যেতে হঠাৎ কোনো এক অদৃশ্য কারনে নির্বাচিত কমিটিকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ফ্যাসিবাদের সময়ের কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।তাঁরা বলছেন তাঁরা পরাজিতদের নানাদাবী ও অভিযোগ আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসা করতে সব সময় প্রস্তুত ছিল। এবং পরাজিতদের দাবি ছিল নির্বাচনের সময়ের ভিডিও ফুটেজ দেখার। সেটিও দেখানোর জন্য সাংবাদিক ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চট্টগ্রাম জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ দিদারুল আলম (দিদার) এর মাধ্যমে রিসিভার থেকে হার্ডডিস্ক খুলে দেখানোর জন্য পাঠালে সেটিও তারা দেখেনি। না দেখার কারণ হিসেবে তাঁরা বলেছেন, তাঁদের দেওয়া এক্সপার্টগন বলেছেন দুই মাস হয়ে গেলে নির্বাচনের সেই রেকর্ডিং থাকবে না, কারণ হার্ডডিস্কটি ছিল ২ হাজার জিবি রেকর্ডিং ক্ষমতা সম্পন্ন। আর ২ হাজার জিবি ৮ টি ক্যামেরা ২৪ ঘন্টা চলতে থাকলে দুই মাসের রেকর্ড থাকবেনা। কিন্তু তখন অলরেডি নির্বাচনের দুই মাস পার হয়ে গিয়েছিল বিধায় সে রেকর্ডিং তারা আর দেখে নাই।এখন হঠাৎ করে নির্বাচনে পরাজিত সাংবাদিকরা বিশেষ করে সাংবাদিক জহির, মেহেদী ও জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের তালা ভেঙ্গে প্রেসক্লাব দখল করে এবং নির্বাচনবিহীন একটা আহবায়ক কমিটির গঠন করে। এমতাবস্থায় গতকাল রবিবার (০৯,০২,২০২৫) ইংরেজি দুপুর ১টায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু, সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সিনিয়র সাংবাদিক মীর মোঃ দিদারুল হোসেন টুটুল সহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ক্লাবে প্রবেশ করলে তাঁদের ওপর কিছু বহিরাগতরা হামলা করেন। তাঁরা আরো বলেন, হামলাকারী বহিরাগতদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল নির্বাচনে হেরে যাওয়া সাংবাদিক জহির,মেহেদী ও বিএসসি জাহাঙ্গীর। তাঁরা ১০/১২ জন বহিরাগতদের সাথে নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্বাচিত কমিটির ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এই হামলায় বিশেষ করে আহত হয় বর্তমান নির্বাচিত কমিটির সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও টুটুল সহ ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়। পরে ফারুক ও কাইয়ুমকে সহকর্মীরা সেখান থেকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।এদিকে জহির, মেহেদী ও বিএসসি জাহাঙ্গীরদের বিশেষ সুত্রে থেকে জানা যায়, গতকাল (০৯,০২,২০২৫) ইংরেজি দুপুর ১টায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের বর্তমান নির্বাচিত কমিটির সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু, সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম ,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক কিছু বহিরাগতদের এনে ক্লাবে প্রবেশ করিয়ে অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলে গন্ডগোল পাকিয়ে মারামারি সৃষ্টি করে এতে দুপক্ষের সাংবাদিকরাই আহত হয়।এদিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন সাংবাদিক ফারুক ও কাইয়ুম চৌধুরীর ওপর হামলার নিন্দা জানান এবং হামলাকারী বহিরাগতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।এঘটনায় সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মোহাম্মদ তাহের ও জামায়াতের মিডিয়া স্বমন্বয়কারী মোহাম্মদ আবুল হোসাইন সাংবাদিকদেরকে দেখতে গিয়ে সহানুভূতি ও এই হামলার নিন্দা জানান।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply