কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ভূঁয়া কাজির দৌরাত্ম্য! বাড়ছে বাল্যবিবাহ! ফলে অবৈধভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে বিপদে ফেলছেন সহজ সরল সাধারন মানুষকে ।
জানাযায় এসব ভূঁয়া কাজিরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোপনে, অসৎ কোন কাজির নিকট থেকে রেজিস্ট্রির বালাম বই সংগ্রহ করছে। আবার অনেকে বাজারের অসাধু ব্যাবসায়ীর নিকট থেকে নকল বই সংগ্রহ করে দাপটে কাজ করে চলেছে। এসব ভূঁয়া কাজিদের লাইসেন্স না থাকায়, নিজের ইচ্ছা মত দু’নাম্বারি কাজ করলেও তাদের কোন জবাবদিহি করতে হয়না। তারা আইন কানুনের কোনো তোয়াক্কাও করে না। ফলে আইনগত জটিলতায় পড়ছেন অনেক নবদম্পতিরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই ভূঁয়া কাজিরা সাধারণত জাল নথি ব্যবহার করে বিয়ে পড়ানোর অনুমতি দাবি করেন। তাঁরা সাধারণ মানুষের অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ বিয়ে, অবৈধ তালাকনামা ও বিয়ের ভুয়া নকল সনদ তৈরি করে বিপদে ফেলছেন অনেককে।
এব্যাপারে অনুমোদিত কাজি তছলিম উদ্দিন, ওসমান আলী ও আলা উদ্দিনের সঙ্গে কথা বললে জানান, এসব ভূঁয়া কাজিদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার অবগত ও তৎপর আছেন। মাসিক আইণ শৃঙ্খলা মিটিং এ আলোচনাও হযেছে। কিন্তু কোনো ভাবেই কমছে না তাদের দৌরাত্ম্য। আরও জানাযায়, ভূরুঙ্গামারীতে ভুঁয়া কাজি তালিকায় রয়েছে, আবু হানিফ,আকবর আলী,এনামুুল ইসলাম,দুলাল হোসেন,জোবায়ের হোসেন, খোকন মিয়া, নবিবর রহমান,আঃ রহিম, মোফাজ্জল আলী, হামিদুর ইসলাম সহ ১৫/১৬ জন।
এব্যাপারে কাজি সমিতির কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি নুরুজ্জামান সাহেবের সঙ্গে কথা বললে, তিনি জানান এসব ভূঁয়া কাজিদের নামের তালিকা আপনারা পত্রিকায় প্রকাশ করেন, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আমি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবো।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আল হেলাল মাহমুদ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান অভিযোগ পেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সঙ্গে পরামর্শ করে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নিবো। তবে অনুমোদিত কাজিদের তালিকা দেখে বিয়ে ও তালাক সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রতারণা বন্ধে কড়াকড়ি নজরদারি ও জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে, যেন কেউ এই চক্রের ফাঁদে না পড়ে।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply