সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড কারখানার সামনে শুক্র ও শনিবার দুদিনে দুই দূর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে। স্হানীদের সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার সকালে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মালবাহী পিকআপভ্যান উল্টে জাকিয়া ইসলাম (৬) নামে এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। একই সাথে আহত হয়েছেন শিশুটির মা-বাবাসহ পরিবারের আরও ৭ জন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৭ টায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাঁশবাড়িয়া ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেডের সামনে চৌধুরী মার্কেট সংলগ্ন এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত শিশুর পরিবারের আহতরা হলেন- শিশুর বাবা জামাল উদ্দিন (৩৮) ও মা লাইজু বেগম (৩০), ভাই মোঃ ফয়সাল (১৪), নানি সেলিনা বেগম (৬০), খালা রিমা আক্তার (২৮), খালাতো বোন সুমাইয়া আক্তার (৫) ও গাড়ির চালক মো. রায়হান (২৪)।
নিহত জাকিয়ার বাবা জামাল উদ্দিন ভোলার বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি হওয়ার সুবাদে ঢাকা থেকে পরিবার-পরিজন ও মালামালসহ চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন জামাল উদ্দিন। মালামালসহ তাদের বহন করা পিকআপ ভ্যানটি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকা অতিক্রমকালে একটি যাত্রীবাহী বাস ওই পিকআপ ভ্যানটিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে । এতে বাসটির পেছনের অংশের সাথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কা লাগে এবং পিকআপ ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি নিহত হয়। আহত হন শিশুটির মা-বাবা-ভাই ও আত্মীয়-স্বজনসহ ৭ জন।
পরবর্তীতে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত জামাল উদ্দিন জানান, ঢাকায় চাকরি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতরভাবে দিন যাপন করছিলেন তিনি। দীর্ঘ চেষ্টার পর চট্টগ্রামে চাকরি হলে স্ত্রী সন্তানসহ নিকট আত্মীয়দের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু মুহূর্তের দুর্ঘটনায় তার সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। আমার কাছ থেকে হারিয়ে গেছে আমার কলিজার টুকরা মেয়েটি।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মমিন জানান, দুর্ঘটনা পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত মালবাহী পিকআপভ্যানটি সরিয়ে থানায় এনে রাখা হয়েছে। আহতরা সকলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত শিশুর মরদেহ রয়েছে চমেক হাসপাতালের মর্গে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply