নারী নির্যাতের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই ইয়াসিন বিন ফয়সাল। অবশেষে নানা অপকর্মে ফেঁসে গেলেন সরকার দলীয় লোক পরিচয় দিয়ে সম্প্রতী পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা ইয়াসিন বিন ফয়সাল। সম্প্রতি
ইয়াসিন বিন ফয়সাল (২২) ওরফে ইয়াছিন আরাফাত নিজের অপকর্ম আড়াল করতে মামলা করলেন চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার দুই কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সেই ইয়াসিন বিন ফয়সাল ওরফে ইয়াছিন আরাফাতের বিরুদ্ধে ১৮ অক্টোবর যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগ মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী শাহানুর আকতার লিজা (২৫)।
মামলার বাদী শাহানুর আকতার লিজা জানান, মোঃইয়াছির আরাফাত পূর্বে স্ত্রীর কথা গোপন রেখে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে।
মন দেওয়া নেওয়ার একপর্যায়ে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর মোঃইয়াছির আরাফাতের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিবাহের অল্পদিন পর থেকে ইয়াছিন আমার উপর যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালাতে থাকে।
১৮ তারিখ সকাল ৮ টায় আমার স্বামী মোঃইয়াছির আরাফাত চট্টগ্রাম বায়েজিদের টেক্সটাইল চন্দ্রনগর কলাবাগান মদিনা ভবন ৬ষ্ঠ তলার বাসায় আমার কাছে যৌতুক হিসেবে তিন লক্ষ টাকা দাবী করে। আমি যৌতুক দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে আমার স্বামী মোঃইয়াছির আরাফাত আমাকে বেদম মারধর ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমি জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ কল করলে বায়েজিদ বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নির্যাতনের বয়াবহতা দেখে আমার স্বামী ইয়াসিন বিন ফয়সাল ওরফে ইয়াছিন আরাফাতের
আটক করে। পরে আমি ঘটনার বিষয়ে লিখিত এজাহারের দায়ের করলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার মামলা নং-২০, তারিখ-১৮/১০/২০২৩ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১১(গ) রুজু করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ ইয়াছিন আরাফাত (২৭) আনোয়ারার ফাজিলহাট, ফজল আহম্মদ বাড়ীর আহম্মদ নুরের পুত্র। বর্তমানে সে বায়েজিদ টেক্সটাইল চন্দ্রনগর কলাবাগান এলাকার মদিনা ভবনের ৬ষ্ঠ তলার ভাড়াটিয়া।
সম্প্রতি ছাত্রলীগের উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পরিচয়ে এই ইয়াসিন বিন ফয়সাল ওরফে ইয়াছিন আরাফাত বাকলিয়ার এক ঘটনা এলাকায় বেশ আলোচিত হয়েছেন।
সূত্র বলছে, ইয়াসিন বিন ফয়সাল ওরফে ইয়াছিন আরাফাত নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা ও কথিত ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে দেওয়ান বাজার মদিনা মসজিদ লেনের ছিদ্দিক কলোনির বাসিন্দা সুখি বেগম (২৭) ও মো. রেজাউল দম্পতির বাসায় ঢুকে বিয়ের কাবিননামা’ চাওয়া ও মারধরের অপরাধ ঢাকতে বাকলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল হক, সহকারী উপ পরিদর্শক (এ এসআই) মোশারফ ও ঐ দম্পতি সুখি বেগম ও স্বামী মো. রেজাউল করিম বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নালিশী মামলা করেছেন।
সেই ঘঠনার রেশ না কাটতেই ১৮ অক্টোবর নিজের স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের দায়ে নগরীর বায়েজিদ থানায় গ্রেফতার হলেন।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে সেই ঘঠনার রেশ না কাটতেই ১৮ অক্টোবর ইয়াসিন বিন ফয়সাল ওরফে ইয়াছিন আরাফাত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও দ্রুতবিচার আইনে দুটি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply