সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলায় একদিনে দুই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হযেছে। উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকায় মোঃ শাহদাৎ (২৫) নামে এক যুবকের ফাঁসিতে ঝুলানো লাশ উদ্ধার করেছে করেছে পুলিশ। অপরদিকে সোনাইছড়ি শীতলপুর এলাকায় তারাবী নামাজ পড়তে গিয়ে সারারাত নিখোঁজের পরদিন বিকালে রেললাইনের পাশে কলাগাছের নিচে জুয়েল হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃত দেহ পাওয়া গিয়েছে। একই দিনে দুই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলছে।
বাড়বকুণ্ড স্হানীয় মেম্বার মোঃ সোহেল জানায়,বাড়বকুন্ড ৭ নং ওয়ার্ডে মাষ্টার কলোনীতে ভাড়া ঘরে মোঃ শাহদাৎ হোসেন (২৫) নামে এক যুবক আজ মঙ্গলবার সারাদিন দরজা না খোলায় আশেপাশের লোকদের সন্দেহ হয়,লোকটি সারাদিন দরজা খুলেনা কেন, রাত ১০ টায় তার ঘরের দরজায় আওয়াজ করলে ভিতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয় মেম্বারকে জানালে, তাৎক্ষণিক স্থানীয় মেম্বার সোহেল পুলিশকে জানান,পুলিশ রাত ১১ টায় এসে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন শাহদাৎ রুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে,লাশ কিছুটা ফুলাফাঁপা ধরেছে,ধারনা করা হচ্ছে সোমবার রাতে বা মঙ্গলবার সকালে সে আত্মহত্যা করে। এরপর পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরী করে লাশ রাত সাড়ে ১২ টায় থানায় নিয়ে যায়। শাহদাৎ বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের হাতিলোটা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
হাতিলোটা ওয়ার্ডের মেম্বার জহির জানায়,শাহদাৎ একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করে, তার এই বিয়ে পরিবার মেনে নেয়নি,তাই সে একই ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে এসে মাষ্টার বাড়ীতে ভাড়াঘরে থাকে,তবে তার স্ত্রী তার সাথে থাকেনা,সে তার বাবার বাড়ীতেই থাকেন,কলেজ শেষে মাঝে মধ্যে তার সাথে দেখা করে যান,এসে কয়েক ঘন্টা অবস্হান করে আবার চলে যান।আশেপাশের লোকদের থেকে জানাযায়,শাহদাৎ অর্থঅভাবে হতাশায় ছিল,তাছাড়া বিয়ে মেনে না নেয়ায় মা বাবার একমাত্র সন্তান হিসেবে অভিমান ও ছিল,সব মিলে হয়তো সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।তবে বিষয়টি খুব বেদনাদায়ক বলে মেম্বার সোহেল জানায়।
অপরদিকে উপজেলার শীতলপুর জুয়েল হোসেন (২৫) নামে এক যুবক সোমবার রাতে তারাবী নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হয়,নামাজ পড়ে সে আর বাড়ী ফিরেনি,মঙ্গলবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধায় রেললাইনের পাশে কলা বাগানে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। জুযেল শীতলপুর সৈয়দ হোসেনের বাড়ীর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে। তার মৃত্যু রহস্যে ঘেরা,নামাজ পড়া অবস্হায় কে বা কারা ফোন দিয়েছিল,এর পর নামাজ শেষে ফোনের সাড়া দিতে হয়তো দেখা করেছে সেখানেই তাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাঁর গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিলনা, নাক,মুখ কান দিয়ে অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে, হত্যা না রেলের আঘাতে মৃত্যু, ময়না তদন্তে বুঝা যাবে বলে পুলিশ জানায়। সীতাকুন্ড থানার ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম জানায়,দুটি মৃত্যুরই নিখুঁত তদন্ত করা হবে।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply